—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সেচখালের জলের তলায় ডুবে থাকা কজ়ওয়ের কোনও অস্তিত্ব মালুম হচ্ছিল না উপর থেকে। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে কজ়ওয়ে পার হতে গিয়েছিল একটি ট্রাক্টর। কিছু দূর যাওয়ার পরে জলের তোড়ে টাল সামলাতে না পেরে ভেসে গেল ট্রাক্টরটি। কোনও মতে সাঁতরে বেঁচেছেন ট্রাক্টরের চালক-সহ জনা চারেক যাত্রী। শনিবার দুপুরে বাঁকুড়ার মেজিয়ার রামচন্দ্রপুরের ঘটনা।
রামচন্দ্রপুর থেকে পুরুনিয়া যাওয়ার পথে ডিভিসির একটি সেচখাল রয়েছে। খালের উপরে থাকা কজ়ওয়ে দিয়ে স্থানীয় মানুষজন যাতায়াত করেন। ফি বছর খালে জল বাড়লে ডুবে যায় কজ়ওয়েটি। গত কয়েক দিনের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে খালে জল বাড়তে তলিয়ে গিয়েছে কজ়ওয়েটি।
এ দিন দুপুরে কজ়ওয়ে পেরনোর সময়ে দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রাক্টরটি।
ঘটনায় বরাতজোরে সকলে প্রাণে বাঁচলেও এ ভাবে ঝুঁকি নেওয়ার দরকার ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দাদের একাংশের তবে দাবি, কজ়ওয়েটি বহু গ্রামের মানুষের যাতায়াতে ভরসা। বর্ষায় জল বাড়লেও তাই অনেক সময়ে জরুরি প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতেই হয়। স্থায়ী সেতু গড়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। ট্রাক্টরের মালিক পরান গরাঁই বলেন, “ট্রাক্টরে থাকা লোকজন সুরক্ষিত রয়েছেন, এটাই বড় ব্যাপার। খালে জল বাড়লেও ট্রাক্টরটি যে এ ভাবে তলিয়ে যাবে, ভাবতে পারিনি।”
মেজিয়ার বিডিও অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে জলে ডুবে থাকা কজ়ওয়ে যাতে কেউ ব্যবহার না করেন, তা লক্ষ রাখা হবে। ওখানে সেতু গড়ার দাবিটিও খতিয়ে দেখা হবে।”
গত কয়েক দিনে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জেলার নদ-নদীগুলির জলস্তর অল্পবিস্তর বেড়েছে। বাঁকুড়া ২ ব্লক এলাকায় গন্ধেশ্বরীর উপরে থাকা মগরা- মানকানালি কজ়ওয়েও জলের তলায় চলে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই কজ়ওয়ের উপর দিয়ে যাত্রিবাস থেকে মোটরবাইক ও ছোট গাড়ির আরোহীরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন।
বাঁকুড়া ২ ব্লকের বিডিও শুভব্রত চক্রবর্তী বলেন, “গন্ধেশ্বরীর জলস্তর এখনও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পৌঁছয়নি। তবে
আমরা ওই কজ়ওয়ের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।”