Rampurhat murder

ধারালো অস্ত্রে খুন ভাইকে, দাদার যাবজ্জীবন সাজা

মুরারই থানার গোয়ালমাল গ্রামে পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাই কঙ্ক কোনাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে দাদা সত্যবানের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২১
Share:

সাজাপ্রাপ্ত আসামী সত্যবান কেনাইকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

ভাইকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল দাদার। বুধবার রামপুরহাট আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক গুরদাস বিশ্বাস প্রায় ১০ বছর আগের ওই ঘটনায় এই সাজা শোনান সত্যবান কোনাইকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর রাতে মুরারই থানার গোয়ালমাল গ্রামে পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাই কঙ্ক কোনাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে দাদা সত্যবানের বিরুদ্ধে। মুরারই ও পাইকর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সত্য়বানকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে সত্যবানকে জেরা করে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করে আদালতে পেশ করা হয়।

মামলার সরকারি আইনজীবী পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় চঞ্চল বলেন, “৯ জনের সাক্ষ্য এবং বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণের নথি আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সব দিক বিচার করে বিচারক যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছেন। সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ছ'মাস কারাদণ্ড।”

Advertisement

দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে সাজা ঘোষণা হওয়ায় খুশি নিহতের স্ত্রী প্রতিমা কোনাই। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘স্বামীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আরও কঠোর সাজা হলে ভাল হত। তবে, স্বামীকে খুন করার জন্য যে সাজা বিচারক দিয়েছেন, তাতে আমাদের দুঃখ নেই। দশ বছর পরে সত্যের জয় হল।’’ তিনি জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত সত্যবানের স্ত্রী তারকী কোনাই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমার দুই মেয়ে, এক ছেলে। অভাবের সংসারে।স্বামীর এই সাজা মেনে নিতে পারছি না। তাঁকে মিথ্যা ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement