মৃতার স্বামী ভোলানাথ গড়াই এবং তাঁর বাবা পঞ্চানন গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
পণের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য না করতে পেরেই বিয়ের মাস দুয়েকের মধ্যে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন তাঁর বোন। বোনের স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেন পুরুলিয়ার এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে ভগ্নীপতি এবং বোনের শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার সকালে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন জয়পুর থানা এলাকার গড় জয়পুরের বাসিন্দা ঝুনপুকি গড়াই (১৮)। মাস দুয়েক আগে ভোলানাথ গড়াইয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। এই ঘটনায় ঝুনপুকির স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দিকেই অভিযোগ আঙুল তুলেছেন তাঁর দাদা রাহুল গড়াই।
পুলিশের কাছে রাহুলের অভিযোগ, অতিরিক্ত পণের দাবিতে ভোলানাথ গড়াই-সহ বোনের শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই তাঁর বোন আত্মহত্যা করেছে।
মৃতার দাদার অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতেই ভোলানাথ এবং তাঁর বাবা পঞ্চানন গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।