প্রতীকী ছবি।
গত ছ’দিনে ১৩ জন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ওই সমস্ত শিশুরা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল। শিশু-মৃত্যু ঘিরে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা না পড়লেও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানাতে চলেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১৮ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এসএনসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন ১৩ জন শিশু মারা গিয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি (মেডিক্যাল সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপাল) সুজয় মিস্ত্রি জানান, সোমবার রিভিউ মিটিংয়ে শিশু-মৃত্যু নিয়ে চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে শিশু-মৃত্যুর কারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমএসভিপি-র দাবি, যে সমস্ত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশকে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। রামপুরহাট হাসপাতালে জন্ম নেওয়া খুব কম ওজনের কিছু শিশুকেও এনএসসিইউ বিভাগে রেখেও বাঁচানো যায়নি।
শিশু-মৃত্যুর কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার শর্মিলা মৌলিক বলেন, ‘‘যে সমস্ত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশ বাইরে জন্ম নিয়েছে। স্বাস্থ্য নিয়ে গর্ভবতী মায়েদের সচেতনতার অভাবেই শিশুগুলির অল্প ওজনের হয়েছে।’’ চিকিৎসকদের পরামর্শ, টীকাকরণ থেকে ইউএসজি পরীক্ষা, নানা বিষয়ে সচেতন না থাকার ফলেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ ত্রিদিব মুস্তাফি বলেন, ‘‘মায়েদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে যথেষ্ট প্রচার চালান হয়। এক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নেব।’’