অভিষেকের নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখছে না প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগে এই নিয়ে তৃতীয় বার পূর্ব মেদিনীপুর সফরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারীহীন সভা শনিবারই প্রথমবার হতে চলেছে তাও আবার খোদ অধিকারী গড় কাঁথিতে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের সফরকে রীতিমতো রাজকীয় করে তোলার চেষ্টায় কোনও কসুর করছে না পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল।
অভিষেককে অভ্যর্থনা জানাতে ইতিমধ্যে গোটা জেলা জুড়ে হাজার হাজার পোস্টার ব্যানার ওভারহেড গেট দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। কলকাতা থেকে সড়কপথে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কোলাঘাট থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকবেন অভিষেক। তারপর মেছেদা হয়ে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে নন্দকুমার এবং ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে কাঁথি ৩ ব্লকের দইসাইয়ে সভামঞ্চে পৌঁছাবেন অভিষেক।
এই যাত্রাপথের প্রায় ৭০ কিমি রাস্তাতেই প্রতিটি মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে বিপুল পরিমানে পুলিশ। ঠিক যেমনটা দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের সফরের সময়। কিন্তু তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের জন্য কেন এমন অভূতপূর্ব নিরাপত্তা, তাহলে কি কোনও নাশকতার আশঙ্কা নাকি এটা নিছকই রাজকীয় সম্বর্ধনা?
প্রশ্নের নিরশন করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলে এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতার তালিকায় রয়েছেন অভিষেক। তাছাড়া ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারী চন্ডীপুরে জনসভায় স্টেজে উঠে অভিষেকের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। তাই সুরক্ষায় কোনও রকম আপোস করা হচ্ছে না।
মামুদ আরও জানিয়েছেন, অভিষেক মঞ্চে এলে তাঁকে স্বাগত জানাতে তৈরি থাকছে এক হাজার সুসজ্জিত কর্মী। সবার পরনে থাকবে আকাশী পাঞ্জাবী, মুখে থাকবে অভিষেকের মুখোশ, হাতে থাকবে জোড়া ফুলের প্রতীক। দর্শক আসনে থাকবে এক লাখ সমর্থক। এক্কেবারে রাজকীয় কায়দায় অভিষেককে সম্মান জানানোর জন্য তৈরি তৃণমূল।
কোথা থেকে আসবে এত সমর্থক পূর্ব মেদিনীপুর নাকি ভিন জেলা? মামুদের উত্তর, শুধু মাত্র কাঁথি ও এগরা মহকুমা থেকেই আসছে সমর্থকরা। সেই সঙ্গে জেলার অন্যান্য প্রান্তের নেতা মন্ত্রীরাও সভায় যোগ দিচ্ছেন। এই সভা মেগা জনসমূদ্র হবে বলেই দাবি তাঁর।