—প্রতীকী ছবি
বিরোধী শিবির দীর্ঘদিন ধরেই পুরসভা নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে আসছে। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে। এ বার পুরভোট করার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন মৌসুমী রায় নামে এক মহিলা। তিনি মামলার আবেদনপত্রে বলেছেন, রাজ্যের ১০৬টি পুরসভা এবং ছ’টি কর্পোরেশন বা পুর নিগমের ভোট বকেয়া রয়েছে। একতরফা সিদ্ধান্তে সেই সব পুরসভায় প্রশাসক এবং প্রশাসকমণ্ডলী নিয়োগ করেছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসকমণ্ডলী দায়িত্বে থাকায় বিভিন্ন পুরসভার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ওই মহিলার আর্জি, ভোট করানোর নির্দেশ দিক হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রের খবর, মামলাটি করা হয়েছে গত শুক্রবার। শীঘ্রই তার শুনানি হতে পারে। মামলাটিতে বিবাদী পক্ষ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য সরকার, রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনকে।
রাজ্যের অনেক পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল ২০১৮ সালেই। সেই সময় নির্বাচন না-করে প্রশাসকমণ্ডলী বসানো হয়। পরে কলকাতা এবং অন্যান্য পুরসভারও বোর্ডের মেয়াদ ফুরোয়। সেই সব ক্ষেত্রেও প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। কয়েকটি
পুর বোর্ডের মেয়াদ ফুরোবে এপ্রিলে। বিরোধীদের অভিযোগ, বেশির ভাগ পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড রয়েছে। ভোট লড়লে তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে, এই আশঙ্কা করেই নির্বাচন করানো হচ্ছে না। তবে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, ২০২০-র অতিমারির জন্যই পুরভোট করানো যায়নি।
তবে মৌসুমীদেবীর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে মেয়াদ ফুরোনোর পরে ২০১৯-এ নির্বাচন করা যেত। ২০১৯ সালেও বহু পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়েছে। সেই সময় অতিমারি পরিস্থিতি ছিল না। তা হলে নির্বাচন হয়নি কেন, সেই প্রশ্নও মামলায় তোলা হয়েছে। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, আইন ‘ব্যবহার’ করে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পুর-প্রশাসক বোর্ডে নিয়োগ করা হচ্ছে। মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বকেয়া পুরভোট করার জন্য মামলা দায়ের হয়েছে। এর পাশাপাশি বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস-এর বিষয়টিও মামলায় রয়েছে।’’