সপ্তদশ বিধানসভার সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
এ বছরই বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ের ৫০তম বর্ষ ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। সেই লড়াই জিতে দশম বারের জন্য বিধানসভার সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। গত ৪ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছেন সুব্রত। রাজ্যের সদ্যপ্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে নিয়েই বিধানসভায় আলোচনার ভাবনা রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের। ১ নভেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। রীতি অনুযায়ী, অধিবেশন চলাকালীন কোনও মন্ত্রী প্রয়াত হলে, অধিবেশনের শুরুতে শোকপ্রস্তাবের পরেই অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও অধিবেশনের শুরুতেই শোকপ্রস্তাব আনা হবে। তবে তার পর সভা মুলতুবি হবে না। বরং তার পরেই সুব্রতর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনার জন্য বরাদ্দ রাখা হবে দেড় থেকে দু’ঘণ্টা। সোমবার ‘নারীদের ক্ষমতায়ন' বিষয়ক আলোচনার প্রস্তাব থাকলেও, তা পিছিয়ে দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।
তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, সেই আলোচনায় অংশ নিতে বিধানসভায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়করা অধিবেশনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, সুব্রতর মতো রাজনীতিকের প্রয়াণের কথা মাথায় রেখেই তাঁরাও যোগদানের পক্ষপাতী। শুক্রবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, বরাবরই তাঁরা শোকপ্রস্তাবে অংশ নেন। তাই সুব্রতর ক্ষেত্রে কলকাতার কাছে থাকা বিধায়কদের অধিবেশনে যোগ দিতে বলা হবে। প্রসঙ্গত, সপ্তদশ বিধানসভায় সুব্রতই ছিলেন সবচেয়ে প্রবীণ বিধায়ক। তাই প্রোটেম স্পিকার হিসেবে বিধায়কদের শপথ গ্রহণ করিয়েছিলেন তিনিই।