Baghajatin Building Collapse

বাঘাযতীনে বহুতল ভাঙার কাজ চতুর্থ দিনে, চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি কী অবস্থায়? কী বলছেন স্থানীয়েরা

মঙ্গলবার রাত থেকেই বাঘাযতীনের বহুতলটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। শুক্রবারও সকাল থেকে কাজ করছেন পুরকর্মীরা। চারতলার জানলার বেশ কিছুটা অংশ ভাঙা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:১৮
Share:

বাঘাযতীনে হেলে পড়া চারতলা সেই ফ্ল্যাটবাড়ি। —ফাইল চিত্র।

বাঘাযতীনের বহুতল ভাঙার কাজ চলছে। শুক্রবার সকাল থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার কয়েক জন কর্মী বহুতলটি ভাঙছেন। তবে কাজ বেশি দূর এগোয়নি। এখনও উপরের তলাতেই রয়েছেন কর্মীরা। ভাঙা হচ্ছে জানলা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে অতি ধীর গতিতে কাজ এগোচ্ছে।

Advertisement

বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনি এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে, তার ফলে বহুতলটি এক দিকে হেলে পড়ে। এখনও তা বিপজ্জনক ভাবেই হেলে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই বহুতলের এক দিক ছিল নিচু। সম্প্রতি তা উঁচু করার কাজ শুরু হয়েছিল। মাসখানেক আগেই ওই কাজের জন্য বহুতলের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ঘটনার সময়ে বহুতলে কেউ ছিলেন না। তাই হতাহত হওয়ার ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু ঘটনার মুহূর্তের যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, বহুতলের একতলার একাংশ ভেঙে পড়ছে। তার ফলে এক দিকে হেলে পড়ছে বহুতল (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)

মঙ্গলবার রাত থেকেই বহুতলটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। শুক্রবারও সকাল থেকে কাজ করছেন পুরকর্মীরা। চারতলার জানলার বেশ কিছুটা অংশ ভাঙা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে রেলিংও। তবে তার বেশি কাজ এগোয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বহুতল নিয়ে এখনও আতঙ্কে। কেউ কেউ মশকরা করছেন, ‘‘কত মজবুত বাড়ি, যে চার দিনেও ভাঙতে পারছে না!’’ তবে বহুতল ভাঙার ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতিই নিয়েছে পুরসভা। এ ক্ষেত্রে এলাকার বাসিন্দা এবং অন্য বাড়িগুলির নিরাপত্তাই তাদের অগ্রাধিকার।

Advertisement

বহুতলের ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রোমোটার পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির একটি রিসর্ট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বাঘাযতীনকাণ্ডের দায় চাপিয়েছেন পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের উপর। তিনি বলেছেন, ‘‘বাম আমলের পাপের বোঝা আমাদের বহন করতে হচ্ছে। ওই সময়ে কলোনি এলাকাগুলিতে কোনও বাড়ির প্ল্যানিং থাকত না। অনেক ফাইল তো আমরা খুঁজেও পাইনি। এখন তো সেই বাড়ি থেকে আমরা বাসিন্দাদের উঠিয়ে দিতে পারি না।’’

বাঘাযতীনের বাড়িটিতে তিনতলার অনুমতি থাকলেও বেআইনি ভাবে চারতলা নির্মাণ করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির সঠিক কোনও পরিকল্পনা ছিল না বলেও অভিযোগ ওঠে। ফিরহাদ জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, ধীরে ধীরে বাড়িটি পুরো ভেঙে ফেলতে হবে। তবে এলাকার সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলেছেন মেয়র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement