Rajasthan Death

‘শাশুড়ির হাতকড়া পছন্দ, ওঁকে হাতকড়া পরিয়ো’, হোয়াট্‌সঅ্যাপ স্টেটাসে লিখে আত্মঘাতী বধূ

রাজস্থানের বিকানেরের ওই মহিলাকে পণের জন্য শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হত বলে অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৫
Share:

রাজস্থানে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন বধূ। মৃত্যুর আগে হোয়াট্‌সঅ্যাপে লিখে গেলেন হেনস্থার কথা। নিজের বাবা-মায়ের কাছে রেখে গেলেন শেষ অনুরোধও। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Advertisement

রাজস্থানের বিকানের জেলার ঘটনা। ২২ বছরের ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয় গত মঙ্গলবার। সে দিন সকালেই হোয়াট্‌সঅ্যাপে একটি স্টেটাস দিয়েছিলেন তিনি। তাতে লিখেছিলেন, ‘‘আমি আত্মহত্যা করছি। শ্বশুর আর ননদের অত্যাচার সহ্য করতে করতে আমি ক্লান্ত। মা-বাবা, তোমাদের মিস্ করছি। আমার শাশুড়ি হাতকড়া পরাতে খুব ভালবাসেন। আমার মৃত্যুর পর ওঁকেও তোমরা হাতকড়া পরিয়ো।’’

হাদান থানার এসএইচও ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত এখনও বাকি। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পুলিশ। মহিলার বাবা-মায়ের বয়ানও রেকর্ড করা হবে।’’

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে একে পণের জন্য হেনস্থার ঘটনা হিসাবেই দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চার বছর আগে মহিলার বিয়ে হয়েছিল। তার পর থেকেই পণের জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে চাপ দেওয়া হত। একাধিক বার শ্বশুরবাড়িতে তাঁর গায়ে হাত তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মৃতার ভাই। তিনি জানান, বিয়ের পর আরও গয়নাগাটি দেওয়া হবে বলে তাঁরা কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও অত্যাচার থামেনি। অভিযোগ, মহিলার শ্বশুর তাঁকে মারধর করতেন। তাঁকে সাহায্য করতেন শাশুড়ি এবং ননদ। একাধিক বার মহিলা বাপের বাড়িতেও চলে গিয়েছিলেন।

গত মঙ্গলবার মহিলার হোয়াট্‌সঅ্যাপ স্টেটাস দেখে তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের জানানো হয়, তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। মহিলার স্বামীর ভূমিকাও তদন্তকারীদের নজরে। পোস্টে তিনি স্বামীর কথা উল্লেখ করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement