পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের জন্য আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে চারটি প্রকল্পের সূচনা করে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার হলদিয়ায় এলপিজি ইমর্পোট টার্মিনাল, ডোভি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন, রানিচকে রেললাইনের উপর চার লেনের একটি উড়ালপুলের উদ্বোধন করেন মোদী। একইসঙ্গে হলদিয়া পরিশোধনাগারের দ্বিতীয় ‘ক্যাটালিটিক আইসো-ডিওয়াক্সিং’ ইউনিটের শিলান্যাসও করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন না। যদিও উপস্থিত ছিলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
বিধানসভা ভোটের আগে এই প্রকল্পগুলোর প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনে ‘বিশেষ তাৎপর্য’ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রকল্পগুলোর সূচনার পর মোদীর ভাষণেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে। মোদী বলেন, ‘‘আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের জন্য আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আগামিদিনে এই অঞ্চল আর্থিক দিক থেকে উন্নত হবে। আধুনিক ভাবে বড় আমদানি-রপ্তানির কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে থাকবে হলদিয়া। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ডোভি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে ১০টি জেলা সরাসরি উপকৃত হবে। এমনকি, এর ফলে কৃষকদের আয়ও বাড়বে।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের এই অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। ওই তথ্যচিত্রে মোদীর পুরনো একটি ভাষণ রয়েছে। যেখানে মোদী বলেছিলেন, ‘‘হিন্দুস্তানের সম্পূর্ণ উন্নতি করতে গেলে, হিন্দুস্তানের পূর্ব এলাকার উন্নতি হওয়া চাই।’’ ভোটের আগে বাঙালি আবেগকে কাজে লাগাতে ওই তথ্যচিত্রে স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো মনীষীদেরও স্মরণ করা হয়েছে।
রবিবার হলদিয়ায় সরকারি মঞ্চে মোদীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, দেবশ্রী চৌধুরী, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। বক্তৃতার শেষে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার সময় মোদীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় দিব্যেন্দুকে। সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে দিব্যেন্দুর। তারপর মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে তাঁর উপস্থিতিকে অন্য ভাবে দেখছে তৃণমূলের একাংশ। অন্য দিকে, আমন্ত্রিতদের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকলেও, তিনি ওই অনুষ্ঠানে যাননি।