—ফাইল চিত্র।
আমজনতার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই প্রশাসনকে প্রয়োজনমতো সতর্ক করছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ‘দিদিকে বলো’র তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত বুধবার ডেবরার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যে সব অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন, সে সবই এই কর্মসূচি থেকে পাওয়া।
এতে আপত্তি জানিয়ে বিজেপির প্রশ্ন, দলীয় পরিকাঠামোয় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেন প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে? তৃণমূলের ব্যাখ্যা, তথ্য ঠিক না ভুল, মানুষের সমস্যা সমাধানে বিচার্য সেটাই। তা কোত্থেকে মিলেছে, সেটা কোনও বিষয়ই নয়।
তৃণমূল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর হাত ধরার পরেই চালু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’। প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে, প্রতিবেশী দুই জেলা, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য প্রশাসনিক সভা হয়েছিল। বৈঠকের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সকলকে জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে তাঁর কাছে নিজস্ব পদ্ধতি আছে, দিদিকে বলো, যার মাধ্যমে তিনি সারা রাজ্যের খবর সরাসরি পান ও তিনি শুধুমাত্র সরকারি খবরের উপর নির্ভর করেন না।’
তাঁর ওই নিজস্ব পরিকাঠামোয় কোন দফতরের নামে জেলা থেকে কত অভিযোগ এসেছে, সে সবও জানিয়েছিলেন। এই সব তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও যে তিনি কসুর করবেন না, তা-ও বুঝিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘পার্টির লোকেরা ভুল করলে আমি অ্যাকশন নিই। যাঁরা সরকারি দায়িত্বে আছেন, তাঁরাও কিন্তু তাঁদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না।’’
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল আমলে দল-প্রশাসন সব একাকার হয়ে গিয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ তো তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির প্রসঙ্গ প্রশাসনিক বৈঠকে আসবে কেন? সবই আসলে লোক দেখানো।’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির পাল্টা ব্যাখ্যা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মানুষের সমস্যার কথা জানছেন, বিহিতের ব্যবস্থা করছেন— এটাই বড় কথা। যেহেতু ওই সব তথ্য যথাযথ, তাই কী ভাবে তা পাওয়া গেল তা বিচার্যই নয়। আর নিন্দুকেরা কী বলল তাতে কিছু এসে যায় না।’’