রাজনীতি বর্জন প্রেসিডেন্সির!

উদ্যোক্তা পড়ুয়ারা অবশ্য বারবার জানান, তাঁরা ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আবেদন করেছিলেন। তবে এই ধরনের আবেদনপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ যে-চিরকুট দেন, তাঁরা তা সংগ্রহ করেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০৪:০৩
Share:

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

অনুমতি না-নেওয়ায় ক্যাম্পাসে আনন্দ পটবর্ধনের ‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্র দেখাতে দেওয়া হয়নি বলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এত দিন জানানো হচ্ছিল। মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, প্রেসিডেন্সির প্রেক্ষাগৃহে কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।

Advertisement

উদ্যোক্তা পড়ুয়ারা অবশ্য বারবার জানান, তাঁরা ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আবেদন করেছিলেন। তবে এই ধরনের আবেদনপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ যে-চিরকুট দেন, তাঁরা তা সংগ্রহ করেননি। অন্যতম উদ্যোক্তা কল্পক গুহ জানান, ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণ মাইতি তাঁকে ফোন করে জানান, আবেদনপত্রে ছবির নাম লেখা হয়নি। ‘রাম কে নাম’ দেখানোর উদ্যোগের কথা তাঁকে জানানো হয়নি কেন, প্রশ্ন তুলে অরুণবাবু জানান, এখন কোনও ছবি দেখানো যাবে না।

প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা মঙ্গলবার তথ্যচিত্রটি দেখাতে চেয়েছিলেন। তাঁরা এ দিন ছবি ও পরিচালকের নাম দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভাবে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু ডিন অব স্টুডেন্টস ফের তাঁদের জানান, ছবিটি দেখানো যাবে না। কর্তৃপক্ষ কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের পক্ষে বা বিপক্ষে ক্যাম্পাসের হল বুক করে অনুষ্ঠান করতে দেবেন না।

Advertisement

পড়ুয়ারা শুক্রবার প্রেসিডেন্সির পোর্টিকোয় ছবিটি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কল্পক জানান, তাঁরা ছবিটি দেখাবেনই। বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া ফোন ধরেননি।

প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী এবং অধুনা লুপ্ত মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সির সঙ্গে আমার যোগাযোগ এখন খুবই ক্ষীণ। কর্তৃপক্ষ ঠিক কী করছেন, জানা নেই। তবে পড়ুয়ারা কোনও ছবি দেখাতে চাইলে তা দেখাতে দেওয়া উচিত বলে মনে করি। পটবর্ধনের ‘রিজ়ন’ তথ্যচিত্রটিও দেখানো হোক। চার দিকে আজ অযুক্তির পরিবেশ। তাই যুক্তির ছবি দেখানো বড় প্রয়োজন।’’

বেশ কিছু প্রাক্তনী জানান, আগে প্রেসিডেন্সিতে ‘রাম কে নাম’ দেখানো হয়েছে একাধিক বার। এ বারের নিষেধাজ্ঞায় তাঁরা অবাক। প্রাক্তনী সংসদের সচিব বিভাস চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা চাই, প্রেসিডেন্সি কলেজে যে-মুক্ত পরিবেশ ছিল, তা বজায় থাকুক বিশ্ববিদ্যালয়েও। ডিরোজিয়োর এই প্রতিষ্ঠানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হোক, এটা মোটেই কাম্য নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement