TMC

I-PAC: ‘তৃণমূল দল বা নেতার ডিজিটাল মাধ্যম চালাই না’, চন্দ্রিমার দাবির পরেই বলল আইপ্যাক

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল আইপ্যাক চালায়। তাঁর অনুমতি ছাড়াই সেখানে বিতর্কিত পোস্ট করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:১১
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নাম না করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি খারিজ করল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সংস্থা আইপ্যাক। শুক্রবার সংস্থার টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘আইপ্যাক কখনওই তৃণমূল দল বা তার কোনও নেতার ডিজিট্যাল মাধ্যম পরিচালনা করে না। কেউ এমন দাবি করলে, সেটা তাঁর অজ্ঞতা বা মিথ্যাচার। দল বা নেতাদের ডিজিটাল মাধ্যমের অপব্যবহার হচ্ছে কি না, তৃণমূলের তা খতিয়ে দেখা উচিত।’

সম্প্রতি চন্দ্রিমার টুইটার হ্যান্ডলের কভারে দেখা যায় ‘বিতর্কিত’ পোস্টারের ছবি প্রসঙ্গে শুক্রবার জানিয়েছিলেন, তিনি এটা করেননি। তাঁর দাবি, ওই টুইটার হ্যান্ডেল আইপ্যাক চালায়। তাঁর অনুমতি ছাড়াই ওই পোস্ট করা হয়েছে। তিনি দলকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, তৃণমূলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি সমর্থন করে চন্দ্রিমার টুইটার হ্যান্ডলে ওই ‘বিতর্কিত’ পোস্ট করা হয়েছিল।

Advertisement

সম্প্রতি তৈরি হওয়া বিতর্ক সামাল দিতে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই সংক্রান্ত বিষয়ে দলের নীতি স্পষ্ট করে দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানিয়ে দেন, তৃণমূলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ সংক্রান্ত পোস্টে সমর্থন নেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যে দলের যাঁরা ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ সংক্রান্ত পোস্ট করেছেন নেটমাধ্যমে, তাঁদের তা দ্রুত মুছে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দলনেত্রীর অনুমতিক্রমেই তিনি যে এ কথা বলছেন, তা-ও স্পষ্ট করে জানান ফিরহাদ।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাজ্যে ১০৭টি পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা ঘিরে বিতর্কেও আইপ্যাকের নাম ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের অফিশিয়া সাইটে সই ছাড়া প্রার্থীতালিকা প্রকাশের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘‘দলীয় সাইটের পাসওয়ার্ডের অপব্যবহার করা হয়েছে। পাসওয়ার্ড অপব্যবহার করেই তালিকা প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।’’

Advertisement

তবে কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী সে বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি ফিরহাদ। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কারও বিরুদ্ধে নাম না করে অভিযোগ করলেও তাঁর অভিযোগের আঙুল ছিল আইপ্যাকের দিকেই। ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই আইপ্যাকের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ফলো’ করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা পরেই অবশ্য ফের মমতাকে ‘ফলো’ করা শুরু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement