গরমে সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করতে হেল্পলাইন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। প্রতীকী ছবি।
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বাংলার। দাবদাহের জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায় রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে ছুটির ঘোষণা করে দিয়েছেন। কিন্তু এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কী হবে? এমনই দুশ্চিন্তায় কলকাতা-সহ রাজ্যের মানুষ। তাই কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটলে, তা দ্রুত সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানোর সুযোগ করে দিল বিদ্যুৎ দফতর। মঙ্গলবার বিধাননগরের উন্নয়ন ভবনে এক বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিদ্যুৎ দফতর সচিব শান্তনু বসু-সহ বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন (সিইএসসি)-র প্রতিনিধিরাও। এই বৈঠকেই গরমে সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করতে হেল্পলাইন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর।
মঙ্গলবার বিধাননগরের উন্নয়ন ভবনে এক বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
সোমবার থেকে বিদ্যুৎ ভবনে চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে ২৪ ঘণ্টার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হল। সঙ্গে দু’টি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে— ৮৯০০৭৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৪। এই দু’টি নম্বরে ফোন করে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যার কথা জানালে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে বিদ্যুতের চাহিদাও ক্রমবর্ধমান। বাড়িতে দিনভর পাখা ও এসি চালানোর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা দেখা দিলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই দফতরের তরফে এই দু’টি নম্বর চালু করে মানুষকে সুরাহা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্য দিকে, সোমবার যোধপুর পার্ক, হরিদেবপুর,বেলঘরিয়া এবং দক্ষিণেশ্বরে কিছু কিছু গ্রাহকের ওভারলোডিংয়ের কারণে ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়া ও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ওই এলাকাবাসীদের। সিইএসসির অধীনস্থ ওই অঞ্চলে এই সমস্যার জন্য পৃথক ভাবে সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন এবং আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তাঁদের তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। গরমে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, তাই সব রকম বন্দোবস্ত রাখতে বলা হয়েছে।