কেশপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভার অনুমতি দিল হাই কোর্ট। ফাইল ছবি।
কেশপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রথমে ওই সভার জন্য অনুমতি মিললেও ২৪ ঘণ্টা আগে অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সভা করতে চেয়ে তাই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়েছে।
বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট দিনে বিজেপি সভার আয়োজন করতে পারবে। সেই সভায় সুকান্তও যোগ দিতে পারবেন। কেন প্রথমে অনুমতি দিয়েও সভার আগে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল, তা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।
মঙ্গলবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বিশ্বনাথপুর বাজার এলাকায় একটি সভায় যোগ দেওয়ার কথা সুকান্তের। তবে বিজেপির দাবি, সেই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। দিন কয়েক আগে চন্দ্রকোনার ঝাঁকরায় শুভেন্দু অধিকারীর ডাকা কৃষক সমাবেশের অনুমতি নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়। শেষে আদালতের নির্দেশে ঝাঁকরায় সভা করেন শুভেন্দু। এ বার সুকান্তের সভা ঘিরেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পদ্মশিবির।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের সভায় ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হওয়া সুশীল ধাড়ার পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়ার কথা সুকান্তের। শেষ মুহূর্তে ২৪ ঘণ্টা আগে সভা করার অনুমতি বাতিল হয়ে যায়। অভিযোগ, যে গ্রাম কমিটির জমিতে সভার আয়োজন করা হয়েছে, তারাই শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, প্রথমে সভার অনুমতি দিয়ে পরে গ্রাম কমিটি তা প্রত্যাহার করল। এর তদন্ত হওয়া দরকার। কেন, কোন পরিস্থিতিতে অনুমতি প্রত্যাহার করা হল? এর আগেও এমন ঘটনার উদাহরণ রয়েছে।
একই সঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, গ্রাম কমিটির মাত্র দু’জনের আপত্তিতে কী ভাবে অনুমতি প্রত্যাহার করা হল? গ্রামে বা গ্রাম কমিটিতে আরও লোক আছে। তাঁরাও কি আপত্তি জানিয়েছিলেন?
বিজেপির দাবি, গ্রাম কমিটির উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই কারণেই শেষ মুহূর্তে সভার অনুমতি বাতিল করা হয়। পুলিশও বেঁকে বসে। আদালতের নির্দেশ, গ্রাম কমিটির সভাপতি মধুসূদন কারককে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। পরবর্তী শুনানির দিন তাঁকে আদালতে এসে হলফনামা দিয়ে সভার অনুমতি প্রত্যাহারের কারণ জানাতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি এক সপ্তাহ পরে।