প্রতীকি ছবি
নিউ টাউনে ধৃত অস্ত্র পাচারকারীদের গন্তব্য বাংলাদেশই ছিল কি না, সেই বিষয়ে সংশয়ে পড়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, ক্যানিং-বাসন্তী এলাকায় বিক্রি করার জন্য ওই অস্ত্র আনা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জামির শেখ বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা এবং মহম্মদ শাকিলের বাড়ি মেটিয়াবুরুজের মসজিদ তালাওয়ে। শাকিলের চতুর্থ স্ত্রীর বাপের বাড়ি ক্যানিং এলাকায়। এই সূত্র ধরেই তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, কিছু দিন যাবৎ ক্যানিং-বাসন্তী এলাকায় দু’দল দুষ্কৃতীর লড়াই চলছে। সেখানে অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে। সেই জন্যই বাংলাদেশের বদলে ওই অস্ত্র পাচারকারীদের গন্তব্য বাসন্তী ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জামির ও শাকিলকে নিউ টাউনের পাথরঘাটায় পাকড়াও করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। বাজেয়াপ্ত করা হয় ১৩ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক, একটি কার্বাইন এবং একটি ৯এমএম পিস্তল। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ধৃতদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে সন্দেহজনক কয়েকটি নম্বর চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পিছনে স্থানীয় কোনও চক্র রয়েছে কি না, আরও বিশদ পরীক্ষা করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরকও ফরেন্সিক পরীক্ষায় গিয়েছে। তবে সেগুলি খুব উন্নত মানের বিস্ফোরক নয় বলে প্রাথমিক মত গোয়েন্দা শিবিরের একাংশের।
ধৃতদের বারাসতে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ দিন তোলে এসটিএফ। তাদের ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক সন্দীপকুমার কুণ্ডু। সরকারি আইনজীবী বিকাশরঞ্জন দে জানান, এই অস্ত্র-বিস্ফোরক পাচারের পিছনে বড় চক্র থাকতে পারে। ওই বিস্ফোরক কোথায় পাচার হচ্ছিল, কে পাঠাচ্ছিল, তা জানা দরকার। আরও বহু প্রশ্নেরই জবাব প্রয়োজন। তাই ধৃতদের অন্তত ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।