police

WB Municipal Election 2022: বিক্ষুব্ধ নেতা নির্দল, পথ আটকে দিল পুলিশ

অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে উল্টে পুলিশ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলাও রুজু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল তাঁর। পরের তালিকায় বাদ গিয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে। অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে উল্টে পুলিশ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলাও রুজু করেছে। শুধু শেখরই নন, আরও কোনও কোনও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন দিতে আটকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলছেন, “ওই ব্যক্তি (শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়) কোভিড বিধি না মেনে মনোনয়ন জমা দিতে এসেছিলেন। তার পরে পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন, ধস্তাধস্তি করেছেন। আইনত পদক্ষেপ করা হয়েছে।” যদিও শেখর বলেন, “এর শেষ দেখে ছাড়ব। হাই কোর্টে মামলা হচ্ছে। ভোটে লড়বই।“

যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস মিছিল করে মনোনয়ন কেন্দ্রে ঢুকেছে, পুলিশ কোনও বাধা দেয়নি। অভিযোগ, অথচ শেখরকে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার পথে আটকে পুলিশ কখনও নথি পরীক্ষা করেছে, কখনও বা বলেছে— ‘এত লোক নিয়ে যাওয়া যাবে না।’ শেখরের দাবি, তিনি একা ভিতরে যেতে চাইলেও পুলিশ রাজি হয়নি। কোতোয়ালি থানার আইসি-সহ অন্য অফিসারেরা শেখরকে জড়িয়ে টেনে ধরে রেখেছেন— এমন দৃশ্যও দেখা গিয়েছে এ দিন। তার পরেও শেখর কোনও ভাবে মনোনয়ন কেন্দ্রের সামনে থাকা প্রথম ব্যারিকেডে পৌঁছলে টেনে হিঁচড়ে তাঁকে বাইরে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ দিন তাঁর আর মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়নি।

Advertisement

১৯৯৮ সালে তৃণমূল প্রতিষ্ঠার সময় শেখর ছিলেন জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূলের প্রথম সভাপতি। এ দিনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জলপাইগুড়ির বর্তমান যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জানান, সৈকতের নির্দেশেই পুলিশ তাঁকে আটকেছে। সৈকতের মন্তব্য, “কী ঘটেছে জানি না। শেখরবাবুর মন্তব্যে আমি ব্যথিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement