(বাঁ দিকে) আমিনুল ইসলাম খান। আজহারউদ্দিন খান (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোট মিটতেই আবার রাজ্য পুলিশে রদবদল। পুরনো পদে ফেরানো হল চার পুলিশ অফিসারকে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির এসডিপিও পদে ফিরলেন দিবাকর দাস। দার্জিলিঙের ডিএসপি পদে ফিরলেন আজহারউদ্দিন খান। বসিরহাট পুলিশ জেলার মিনাখাঁয় এসডিপিও পদে ফেরানো হয়েছে আমিনুল ইসলাম খানকে। তাঁর আওতাতেই পড়ে সন্দেশখালি থানা। হাওড়া গ্রামীণের ডিএসপি পদে ফিরলেন অমিতাভ কোনার। ভোটের আগে এই অফিসারদের বদলির নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
লোকসভা ভোট চলাকালীন রাজ্য পুলিশের বেশ কয়েক জন অফিসারকে বদলি করা হয়। নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এমন পদে পাঠানো হয়েছিল তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে। শেষ দফার ভোটের আগে মিনাখাঁর এসডিপিও পদ থেকে সরানো হয়েছিল আমিনুলকে। তাঁর অধীনেই সন্দেশখালি থানা, যা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে ‘আলোচ্য’ হয়ে উঠেছিল। সেখানকার এসডিপিও-র বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সুর চড়িয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি আমিনুলের বিরুদ্ধে ‘তৃণমূলের হয়ে’ কাজ করার অভিযোগ তুলেছিলেন। তার পরেই আমিনুলকে বদলি করে কমিশন। জানায়, ভোটের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না, এমন পদে পাঠাতে হবে তাঁকে। পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি)-র যুগ্ম সহকারী ডিরেক্টর করা হয় আমিনুলকে। আর তাঁর জায়গায় পাঠানো হয় অমিতাভকে। তিনি ছিলেন হাওড়া গ্রামীণের ডিএসপি।
কাঁথির এসডিপিও দিবাকরকেও বদলি করা হয়। তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি)-এর যুগ্ম সহকারী ডিরেক্টর পদে বসানো হয়। নবান্নের সুপারিশ মেনে কাঁথির এসডিপিও করা হয় আজহারকে। তিনি দার্জিলিঙের ডিএসপি ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে মালদহের মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাই স্কুলে এক বন্দুকবাজকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধরেছিলেন আজহার। ওই ঘটনার পর পুলিশের প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আজহারকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে পাঠানো হয়েছিল। এ বার তিনি আবার ফিরলেন পুরনো পদে।