এক লহমায় সে দিন ‘খেলা’ ঘুরে যায় আজহারউদ্দিনের কব্জির মোচড়ে। — নিজস্ব চিত্র।
গত বছর মালদহের একটি স্কুলে ঢুকে পড়া ‘বন্দুকবাজ’কে একাই কাবু করে দিয়েছিলেন তিনি। প্রাণের তোয়াক্কা না করেই বন্দুকবাজের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে তাঁকে ‘অ-সাধারণ’ নির্বাচিত করে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনে। ডিএসপি র্যাঙ্কের অফিসার সেই আজহারউদ্দিন খানকে ভোটের মুখে কাঁথির এসডিপিও পদে বসাল নির্বাচন কমিশন।
আগামী শনিবার ষষ্ঠ দফায় পূর্ব মেদিনীপুরের দুই কেন্দ্র তমলুক ও কাঁথিতে ভোট। তার আগে জেলার পুলিশ আধিকারিককে বদলে দিয়েছে কমিশন। সরানো হয় কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস, ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এবং পটাশপুর থানার ওসি রাজু কুন্ডুকে। সোমবার কমিশন জানিয়েছে, নবান্নের সুপারিশ মেনে কাঁথির এসডিপিও করা হল আজহারকে। এর আগে দার্জিলিঙের ডিএসপি ছিলেন তিনি।
গত বছর প্রচারের আলোয় এসেছিলেন আজহার। দিনটা ছিল ২৬ এপ্রিল। দুপুরবেলা মালদহের মুচিয়া চন্দ্রমোহন হাই স্কুলে এক বন্দুকবাজ ঢুকে পড়েছিলেন। সাত-পাঁচ না ভেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই বন্দুকবাজকে ধরেছিলেন আজহার। ওই ঘটনার পর পুলিশের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসাও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আজহারকে ভোট পরিস্থিতি সামলাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাড়া কাঁথিতে পাঠাচ্ছে কমিশন।