কালচিনির দলসিংহপাড়ায় পুলিশ পাল্টা লাঠি চালায় এবং কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। প্রতীকী ছবি।
ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেওয়া শুরু হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের কালচিনির দলসিংহপাড়ায়। সোমবার দুপুরে পুলিশ তা থামাতে গেলে জনতার সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের দিকে পাথর ছোড়ে জনতা। তাতে তিন আধিকারিক-সহ ১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। কয়েক জন পুলিশকর্মীকে লোহার রড এবং বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দিকে বোমা ছোড়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। পুলিশ পাল্টা লাঠি চালায় এবং কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, গণপিটুনিতে আহত ব্যক্তির বাড়ি মাদারিহাটের শিশুবাড়ি এলাকায়। তিনি আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। সোমবার দুপুরের দিকে দলসিংহপাড়া বাজারে ঢুকে পড়েছিলেন। অপরিচিত মুখ দেখে অনেকে তাঁকে ঘিরে ধরেন। শুরু হয় জেরা। তিনি অসংলগ্ন উত্তর দিলে কয়েক জনের ধারণা হয়, তিনি ছেলেধরা। এর পরই শুরু হয়ে যায় গণপিটুনি। হাসিমারা ও জয়গাঁ থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে পাশের একটি স্কুল ঘরে নিয়ে যায়। কিন্তু অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা স্কুল ঘর ভেঙে ওই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয়।
এই অবস্থায় ঘটনাস্থলে যান জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। ফালাকাটা ও বীরপাড়া থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি র্যাফও পৌঁছয়। জনতার একটি অংশ তখন পুলিশের উপরেই মারমুখী হয়ে ওঠে। পুলিশও লাঠি চালাতে শুরু করে। একটি বোমা ফাটে কুন্তলবাবুর পায়ের পাশে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।