ফাইল চিত্র।
জাল প্রতিষেধক-কাণ্ড এবং রাজনৈতিক ‘সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে সোমবার কলকাতায় বিজেপির দু’টি মিছিল আটকাল পুলিশ। দুই জায়গা থেকেই গ্রেফতার হলেন বিজেপির কয়েক জন কর্মী।
ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে স্মরণে রেখে এ দিন থেকে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ আন্দোলন শুরু করেছে বিজেপি। চলবে আগামী ১৬ অগস্ট পর্যন্ত। এই আন্দোলনের প্রথম দিন জাল প্রতিষেধক-কাণ্ড এবং সন্ত্রাসের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় মশাল মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের সর্দার পটেলের মূর্তি এবং যদুবাবুর বাজার থেকে নেতাজি ভবন পর্যন্ত মিছিল ছিল তাদের। দুই জায়গাতেই করোনা নিয়ন্ত্রণ বিধির কারণে বিজেপি কর্মীদের মিছিল করতে নিষেধ করে পুলিশ। তাঁরা তা অমান্য করলে দুই জায়গা থেকেই কয়েক জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। বিজেপির রাজ্য দফতর লাগোয়া চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। বিজেপি কর্মীরা তা ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। তার পরই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে। শিলিগুড়িতে মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘সামাজিক দূরত্ব-সহ সব রকম কোভিড বিধি মেনে আমরা প্রতীকী কর্মসূচি নিয়েছিলাম। পুলিশ-প্রশাসনকে জানানোও হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। কারণ পুলিশ মনে করে, করোনা ভাইরাসের পশ্চিমবঙ্গের ভ্যারিয়েন্টটি খুব রাজনীতি সচেতন। কেবল বিজেপির কর্মসূচি থেকেই সেটা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তৃণমূল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলে সেখান থেকে করোনার ওই ভ্যারিয়েন্ট মোটেই ছড়ায় না। তাই তৃণমূলের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় না।’’
তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অবশ্য পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল বিজেপির নেতাদের রাজভবনের দালানে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আর ত্রিপুরার রাজ্যপাল বলেন, করোনার জন্য ছ’জনের বেশি বিরোধী নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না, তা-ও ১৫ অগস্টের পরে। সুতরাং, করোনা নিয়ন্ত্রণ বিধির ক্ষেত্রে বৈষম্য রাজভবন করে। আর বিজেপি করোনা বিধি মানে না। তৃণমূল করোনা বিধি মেনে কর্মসূচি করে।’’