বিশাল খেয়ারি এবং (ডান দিকে) বুদ্ধদেব চিত্রকর ওরফে ডোঙা। —নিজস্ব চিত্র।
ডায়মন্ড হারবার গুলি-কাণ্ডে জখম ফুটবলার তথা তৃণমূলকর্মীকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বরং দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই মনে করছে তারা।
শুক্রবারের গুলি-কাণ্ডে ধৃত সৌরীশ দে, বুদ্ধদেব চিত্রকর ওরফে ডোঙা এবং রাজেশ পাণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬, ৩৪১,৩০৭ এবং ২৫/২৭ ধারায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতদের ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে তোলা হলে তাঁদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রেল কলোনিতে প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় গুলিবিদ্ধ হন বিশাল খেয়ারি নামে এক যুবক। তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর নীচে গুলি লাগে। এলাকায় ফুটবলার হিসাবে পরিচিত বিশাল শাসকদলেরও সদস্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। তবে অন্য দাবি করেছে পুলিশ। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মিতুন দে বলেন, ‘‘এই গুলি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বুদ্ধদেব চিত্রকর (ডোঙা)। তাঁর বিরুদ্ধেই ওয়ান শাটার পিস্তল থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।’’ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের দাবি, ‘‘খেয়ারি এবং চিত্রকর— এই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। দুই পরিবারের ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত বুদ্ধদেব চিত্রকরের দিদিকে লক্ষ্য করে ২০১১ সালে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে খেয়ারি পরিবারের বিরুদ্ধে। সে মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। তার বদলা নিতেই বিশালের উপরে হামলা কি না, সে তদন্ত চলছে।’’
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশাল এবং বুদ্ধদেব— দু’পক্ষেরই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এই হামলার পিছনে আসল উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।