আদালতের পথে দত্তপুকুরে গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃতেরা। ছবি: সুদীপ ঘোষ
বর্ষবরণের রাতে দত্তপুকুর গণধর্ষণ কাণ্ডের তিন অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল বারাসতের জেলা আদালত। নির্যাতিতা এ দিনই বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে এলাকার মহিলা-পুরুষ মিছিল করে দত্তপুকুর থানায় গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
বর্ষবরণের রাতে কয়েক জন যুবক মত্ত অবস্থায় ঘরের দরজা ভেঙে ওই মহিলার ঘরে ঢোকে বলে অভিযোগ। শব্দ শুনে বেরিয়ে এসেছিলেন বাড়ির মালিক এক প্রৌঢ়। দুষ্কৃতীরা তাঁকেও মারধর করে। পরে ওই প্রৌঢ়ই এলাকার লোকজনকে ডেকে এনে দেখেন, ঘরের মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মহিলা। পরে পুলিশ ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত ছিল কিনা, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে। ধৃতদের মধ্যে রতন দাস ওরফে তোতা নামের এক যুবক ২০১৪ সালে কলেজ ছাত্র সৌরভ চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিল। পরে প্রমাণাভাবে ছাড়া পেয়ে যায়।