কলকাতামুখী বাসস্ট্যান্ডে দীর্ঘ লাইনে যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
গত দু’ দিন বাসের সংখ্যা বাড়তে শুরু করার পরে, ফের বৃহস্পতিবার রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা খানিকটা কমল। উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতায় সকালের দিকে বাসের সংখ্যা মোটামুটি গত দু’দিনের মতো থাকলেও এ দিন বেলা বাড়তেই তা কমে আসে। ফলে হয়রানির মুখে পড়েছেন অফিস ফেরত জনতার বড় অংশ। এরই মধ্যে দু’টি বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন এ দিন ভাড়া বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে পরিবহণ দফতরকে চিঠি দিয়েছে।
সরকারি অফিসে কর্মীদের হাজিরা কম হওয়ায় সকালে যাত্রীর চাপ এ দিন কিছুটা কম ছিল। সকালের দিকে ডানলপ, চিড়িয়া মোড়, গিরিশ পার্ক, চিনার পার্ক, করুণাময়ী, রবীন্দ্র সদন, রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, গড়িয়া, রুবি, টালিগঞ্জ-সহ একাধিক জায়গায় যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়লেও অন্যান্য দিনের মতো দীর্ঘ অপেক্ষা চোখে পড়েনি। তবে, দুপুরে মেঘলা আবহাওয়া এবং অল্প বিস্তর বৃষ্টির পরে বেসরকারি বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসে বলে অভিযোগ। ফলে, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে বাড়ি ফিরতে গিয়ে যাত্রীদের অনেককেই তুমুল হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এসপ্ল্যানেড, বৌবাজার ক্রসিং এর মতো একাধিক জায়গা থেকে উত্তরের বাস পেতে যাত্রীদের যেমন সমস্যা বেড়েছে, তেমনি রুবি বা রবীন্দ্রসদন থেকেও বাড়িমুখো জনতাকে প্রবল হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়েছে। অনেককেই বাস না পেয়ে ট্যাক্সি করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সরকারি বাস রাত ৯টা পর্যন্ত চললেও, সন্ধ্যা ৭টার পরে বেসরকারি বাস কার্যত চলেনি। সাঁতরাগাছির বাসিন্দা, একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী, জয়িতা পাল বলেন, ‘‘বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে বাসের অপেক্ষায় নাকাল হয়েছি। শেষে ট্যাক্সি ধরে ফিরতে হয়েছে।’’ এ দিন কলকাতায় সরকারি বাস চলেছে ১১০০-র কাছাকাছি। বেসরকারি বাস চলেছে ২৩০০ মতো। অটো ছিল গত দু’দিনের মতোই। বিকেলের দিকে অ্যাপ ক্যাবের ভাড়াও ছিল ঊর্দ্ধমুখী।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘কিছু বাস রোটেশন পদ্ধতিতে চলায় বাস কম মনে হয়ে থাকতে পারে। তবে দুপুরের দিকে বাসে যাত্রী কম হয়েছে।" এদিন অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবং বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ সভাপতি টিটো সাহা জানান, তাঁরা বাস থেকে আয় - ব্যয় সংক্রান্ত নথি এদিন পরিবহণ দফতরে জমা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, করোনা আবহে বাসের যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। তাই পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব । ভাড়া বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই বলে সরকারকে দেওয়া চিঠিতে এদিন জানিয়েছেন তাঁরা।