ঘরোয়া উপায়েই দূর হবে ব্রণ, কী কী ব্যবহার করবেন জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
কৈশোরে ব্রণর সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক বেশি বয়সেও ব্রণ ভরে যাচ্ছে গালে বা গলায়। দুই গালে যেমন ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা হতে পারে, তেমনই গলায় ও বুকেও ব্রণ জ্বালাতন করে অনেককে। অনেক সময়ে ব্রণ থেকে গলায় বা বুকে কালো দাগও হতে দেখা যায়। এই ব্রণ চট করে সারতে চায় না। তা হলে উপায়?
ত্বক চিকিৎসকেরা বলেন, যাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাঁদেরই গলা ও বুকে বেশি ব্রণ হতে দেখা যায়। তা ছাড়া হরমোনের তারতম্যের কারণেও ব্রণ হতে পারে। খুব বেশি সিন্থেটিক পোশাক পরলেও তা থেকে ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা হতে পারে। কী ভাবে সারবে? বাজারচলতি ক্রিম বা লোশনের দরকার নেই, ঘরোয়া উপায়েই ব্রণর সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার টোনার
সম পরিমাণ জল ও অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এ বার তুলোয় করে সেই মিশ্রণ নিয়ে যেখানে যেখানে ব্রণ হয়েছে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট রেখে উষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন করলে উপকার পেতে পারেন।
টি ট্রি অয়েল মাস্ক
টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ আছে। ব্রণ-ফুস্কুড়ি বা ত্বকের যে কোনও সমস্যায় কাজে লাগতে পারে। যে কোনও ক্যারিয়াল অয়েল যেমন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে টি ট্রি তেল সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে নিন। এ বার তুলোয় করে ত্বকে লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে দু’দিন করলেই উপকার পাবেন।
অ্যালো ভেরা জেল মাস্ক
‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি’-র তথ্য অনুযায়ী ব্রণ বা র্যাশের সমস্যার চটজলদি সমাধান করতে পারে অ্যালো ভেরা জেল। ত্বকের যেখানে ব্রণ বা ফুস্কুড়ি হয়েছে সেখানে এই জেল ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে উষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
মধু ও দারচিনির মাস্ক
এক চা চামচ মধুর সঙ্গে আধ চামচের মতো দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি ব্রণর জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। তার পর উষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক কেবল ব্রণর সমস্যা দূর করবে তা নয়, ত্বকের যে কোনও প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করবে।