নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়ার আগেই সোমবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসার কাজ চলছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
সোমবার সন্ধ্যার পর জেলার মোহনপুর, ডেবরা, দাসপুর ২ ব্লক এলাকার প্রায় বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করে স্থানীয় ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতেই সেই সব ত্রাণ শিবিরে খাওয়ারের ব্যবস্থা করছে স্থানীয় প্রশাসন। এ দিকে রাতেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা পরিদর্শনে যাচ্ছেন বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে।
কেশিয়াড়িতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যান জেলাশাসক রশ্মি কোমল। সঙ্গে ছিলেন জেলার ওসি (বিপর্যয় মোকাবিলা) দেবব্রত সাউ। শালবনিতে গিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার, ঘাটালে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পিনাকীরঞ্জন প্রধান। ডেবরায় যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) কুহুক ভূষণ, দাঁতনে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তুষার সিংলা।
ইয়াস ঝড়ের মোকাবিলায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একাধিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তার নম্বর (০৩২২২) ২৭৫৮৯৪। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জেলা শাসকের দপ্তর ছাড়াও মহকুমা শাসক, বিডিও অফিস, পিডব্লিউডি, পিএইচই, দমকল, বিদ্যুৎ দপ্তর, কৃষি দফতরে। জেলায় মোট ২৪টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩০০টি জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। খাবার, ত্রিপল মজুত করা হয়েছে ব্লকগুলিতে। মোহনপুর, ঘাটাল এবং খড়গপুরে রাখা হচ্ছে এনডিআরএফের দল। নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাছ কাটার জন্য ৮১টি দল, বিদ্যুৎ দফতরের ১২৬টি দল তৈরি। জেলা শাসক রশ্মি কোমল বলেন, ‘‘ঝড় আসার আগে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।’’