মঙ্গলবার দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসবে। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে সারা চূড়ান্ত প্রস্তুতি। শেষ মুহূর্তের পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার সকালেই একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসছে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের কার্যালয়ে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, রামনগরের বিধায়ক তথা মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি এবং রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। এ ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি চূড়ান্ত হলেও কোনও এলাকার কাজে খামতি রয়েছে কি না, সে বিষয়ে শেষ পর্যায়ের আলোচনা হবে।
‘ইয়াস’ আছড়ে পড়লে যাতে বড়সড় বিপর্যয় ঠেকানো যায়, সে জন্য সব রকমের প্রস্তুতিও সেরে রাখা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। জ্যোতির্ময় বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয় মোকাবিলার সব প্রস্তুতি শেষ। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলি থেকে গ্রামবাসীদের সরানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে চূড়ান্ত প্রস্তুতির পর্যালোচনার জন্য আগামিকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ২ মন্ত্রী-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন।”
গ্রামবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতিরও কাজ করছে প্রশাসন। অখিল বলেন, “দিঘা থেকে খেজুরি পর্যন্ত প্রায় ৭১ কিলোমিটার এলাকায় সমুদ্রের বাঁধ মেরামতের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। তবে খেজুরির পাথুরিয়াতে ৩০০ মিটারের মতো এলাকায় বাঁধ খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সোমবার সে জায়গা পরিদর্শন করেছি। তবে আবহাওয়ার জন্য মেরামতির কাজে জোর দেওয়া যায়নি।” অখিল আরও বলেন, “এই এলাকায় ঘরবাড়ি কিছু নেই। তবুও বাঁধ উপচে জল ঢুকলে সমস্যা হতে পারে কি না, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে।” এ বিষয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অখিল। বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত হলেও নজরদারির জন্যই এই বৈঠক বলে দাবি তাঁর।