প্রতীকী ছবি।
বসন্ত উৎসব নিয়ে জেলা প্রশাসন বৈঠক করলেন বৃহস্পতিবার। কিন্তু, সেখানে দেখা গেল না বিশ্বভারতীরই কোনও আধিকারিককে!
রাজ্য সরকার যদি প্রশাসনিক সহযোগিতা করে, তাহলে দোলের দিনই বসন্ত উৎসব তাঁরা করবেন বলে জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বোলপুরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘প্রতি বছর যেখানে বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতী আয়োজন করে, সেখানে এ বছর আচমকা কেন সাহায্য এবং নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? প্রশাসন তো প্রতি বছরই বিশ্বভারতীকে এই উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করে।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তিনি বলেছেন, যে রকম ভাবে বসন্ত উৎসব দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, সেরকম ভাবেই করতে। স্থানীয় স্তরে প্রশাসনিক যা সাহায্য লাগবে, তা করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পরেই এ দিন দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোলপুর সার্কিট হাউসে বসন্ত উৎসব নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ, বোলপুরের মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। প্রশাসন জানিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁদের তরফে কেউ হাজির ছিলেন না। ফলে ফের বসন্ত উৎসব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বসন্ত উৎসবের ঐতিহ্যকে বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট। তাই আমরা চাই, দোলের দিনই যেন বসন্ত উৎসব করা হয়। রাজ্য সরকার সমস্ত রকম দায়িত্ব গ্রহণ করবে, সাংস্কৃতিক দিকটা বিশ্বভারতী দেখুক।’’ তাঁর আশ্বাস, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ—এই সমস্ত কিছু রাজ্য প্রশাসন দেখবে। রাজ্য সরকারের কাছে উৎসব আয়োজন নিয়ে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে যা যা সহযোগিতা চাওয়া হবে, তার সবটাই করা হবে।
বিশ্বভারতীর তরফে বৈঠকে গরহাজির থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আশিসবাবু বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আসতে পারছেন না বলে জেলাশাসককে জানিয়েছেন।’’
বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসনিক সহযোগিতা চেয়ে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তার উত্তর এখনও তাঁরা পাননি। সূত্রের খবর, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়, সে দিকেই এখন তাকিয়ে সব মহল।