মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার (বাবলা) খুনের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ধৃতদের এক জনের থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনে, এমনই দাবি পুলিশের। ধৃত কে, তা খোলসা না করলেও, রহস্য ভেদে সিআইডির সাইবার বিশেষজ্ঞ দলের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি, খুনের পিছনে আরও ‘মাথা’ রয়েছে বলে ধৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ওরফে নন্দু জেরায় তাদের জানান বলে দাবি পুলিশ সূত্রের। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব শনিবার বলেন, ‘‘আরও কেউ জড়িত কি না, দেখা হচ্ছে।’’
মালদহ জেলা আদালতে বিচারকের উপস্থিতিতে এ দিন উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের যাবতীয় তথ্য পেন ড্রাইভে স্থানান্তরিত করেন সিআইডির সাইবার বিশেষজ্ঞ মমতা চক্রবতী। পুলিশ সূত্রের দাবি, দুলাল খুনে যারা ধরা পড়েছে, তাদের এক জনের মোবাইলে প্রচুর তথ্য রয়েছে। সে ফোনে খুনের দু’সপ্তাহ আগে থেকে ধৃত নরেন্দ্রনাথ ও স্বপন শর্মার সঙ্গে কথা হয়। জানা গিয়েছে, খুনের পরেও ওই দু’জনের এক জনকে ওই মোবাইল থেকে ফোন করা হয়েছিল এবং তাদের কথোপকথনের তথ্যও মিলেছে। সে সব কথাবার্তা নরেন্দ্রনাথ ও স্বপনের কি না, তা জানতে ‘ভয়েস রেকর্ড’ করে এবং তা পরীক্ষা করে চিহ্নিতকরণের চেষ্টা করছে পুলিশ।
অন্য দিকে, এই ঘটনায় ‘বড় মাথা’ থাকার দাবি ফের উঠে এসেছে। বিষয়টি জানতে পুলিশ নরেন্দ্রনাথ ও স্বপনকে দফায় দফা জেরা করেছে। দুলালের স্ত্রী চৈতালী এ দিনও বলেছেন, ‘‘নন্দুকে জেরা করলে নিশ্চয়ই আরও কিছু মাথার নাম বেরোবে।’’ যদিও নরেন্দ্রনাথকেই ‘মাথা’ বলে দাবি করে ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘আরও কেউ থাকলে পুলিশ দেখবে।’’ দুলাল খুনে অভিযুক্ত রোহন রজক, বাবলু যাদব এবং আশরফ খান এখনও অধরা। ভিন্ রাজ্যেও অভিযুক্তদের খোঁজে লাগাতার তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ, রবিবার ইংরেজবাজার শহরের রামকৃষ্ণপল্লি মাঠে দুলাল সরকারের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তাতে যোগ দিতে শনিবার রাতে মালদহে পৌঁছন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, দলের নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। দুলাল খুনে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে শনিবার রাতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মহানন্দাপল্লিতে মিছিল করেন মহিলারা।