Partha Chatterjee

‘কেউ শিখিয়ে দেয় না’, শুভেন্দুর ‘দুর্বল চিত্রনাট্য’ কটাক্ষের জবাবে আর কী বললেন পার্থ?

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল, জেল সুপারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পার্থ আদালতে তাঁদের নাম করেন। বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগেরই জবাব দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫৩
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালত থেকে বেরোনোর মুখে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের জবাব দিলেন। নিজস্ব চিত্র।

শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদালতে যা বলেছেন, তা আসলে ‘দুর্বল চিত্রনাট্য’। জেলের সুপারের সঙ্গে পরামর্শ করেই নাকি ওই কথাগুলি তিনি বলেছিলেন। তাঁকে সব ‘শিখিয়ে পড়িয়ে’ বলতে পাঠানো হয়েছিল। বিরোধী দলনেতার সেই অভিযোগের জবাব বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেরোনোর সময় দিলেন পার্থ। তাঁর সাফ জবাব, ‘‘আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয় না।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল পার্থকে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। পার্থ বলেন, ‘‘অসত্য ভাষণের কোনও উত্তর আমি দিই না। এই ধরনের কথা অসত্য, বাস্তববিহীন এবং কোনও তথ্যনির্ভর নয়। আমি যা জীবনে করি, বিরোধী দলনেতা তা ভাল করেই জানেন। আমার বিদ্যা, বুদ্ধি এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থেকেই আমি কথা বলি। আমাকে কেউ শিখিয়ে দেয় না। এই ধরনের মন্তব্য আমি অন্তত ওঁর কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না।’’

এর আগে গত ২৩ মার্চ পার্থকে যখন আদালতে তোলা হয়েছিল, তিনি পাঁচ মিনিট বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার আগে শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে অভিযোগ আনেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর নিশানায় শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং আর এক বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ ছিল, তিনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এই নেতারা চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু পার্থ তাঁদের জানিয়েছিলেন, তিনি বেআইনি কাজ করতে পারবেন না।

Advertisement

এর পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই ধরনের ড্রামা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও করা হয়েছিল। যেখানে সম্মাননীয় বিমান বসুর সঙ্গে আমার নামও করা হয়েছিল।’’ শুভেন্দুর দাবি, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই প্লট তৈরি করা হয়েছে গতকাল। দেবাশিস চক্রবর্তী, যিনি প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার তাঁর দু’টি নম্বর দিচ্ছি। ৩০ মিনিট আগে যিনি টুইট করেছেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কারণ, বিষয়টি আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। আর জেল সুপারকেও ধরা হোক। ওঁর দু’টি নম্বর নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসটাইম খতিয়ে দেখা হোক বিকেল ৪টে থেকে ৪টে ১৫ পর্যন্ত কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন।’’

বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পাল্টা বৃহস্পতিবার দিলেন পার্থ। তিনি যে কারও কথা শুনে, কারও শিখিয়ে দেওয়া বুলি আওড়ান না, নিজের জ্ঞান থেকেই যা বলার বলে থাকেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন আদালত থেকে বেরোনোর পথে।

এ ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও কিছু প্রশ্ন পার্থকে করা হয়েছিল। কিন্তু তা শুনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি মন্ত্রী, নিয়োগকর্তা নই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement