কলকাতা হাই কোর্টের নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। ফাইল ছবি।
কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন টিএস শিবজ্ঞানম। বর্তমান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের অবসরের পর শুক্রবার ৩১ মার্চ থেকেই ওই পদের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে তাঁর নাম মঞ্জুর করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম আগেই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নাম সুপারিশ করেছিল। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি-সহ তিন বিচারপতির কলেজিয়াম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সুপারিশের কথা জানায়। বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত হিসাবে সেই নাম মঞ্জুর করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রের আইনমন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের অবসরের পর আগামী ৩১ মার্চ থেকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন বিচারপতি শিবজ্ঞানম।
বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দীর্ঘ চাকরি জীবন শেষে অবসর গ্রহণ করছেন বিচারপতি শ্রীবাস্তব।
বিচারপতি শিবজ্ঞানমের জন্ম তামিলনাড়ুতে। ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসাবে তাঁর নাম নথিভুক্ত হয়। দীর্ঘ ২৩ বছর আইনজীবী পেশায় থাকার পর ২০০৯ সালে মাদ্রাজ হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে শপথ নেন বিচারপতি শিবজ্ঞানম। ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে তিনি উত্তীর্ণ হন। সেখানে ১২ বছর বিচারপতি হিসাবে কাজ করার পর তাঁকে কলকাতা হাই কোর্টে স্থানান্তরিত করে সুপ্রিম কোর্ট। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর হাই কোর্টের দ্বিতীয় প্রবীণ বিচারপতি (প্রধান বিচারপতির পরের স্থান) হিসাবে শপথ নেন বিচারপতি শিবজ্ঞানম। এক বছর তিন মাসের বেশি সময় এই হাই কোর্টে বিচারপতি থাকার পর তিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেলেন।
বিচারপতি শিবজ্ঞানমের অনেক মামলায় কড়া পর্যবেক্ষণ রয়েছে। হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জারি করা আদালত অবমাননার রুলের বিচার করছে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে বৃহত্তর বেঞ্চ। আদালত কক্ষ অবরোধের ঘটনাটি তিনি ভাল নজরে দেখেননি। ওই মামলায় তাঁর মন্তব্য ছিল, “আইনজীবীদের কাছে এ জিনিস আশা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে বিচারের গরিমা এবং মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়। আমাদের কাজ হল একেবারে শেষ প্রান্তে যে মানুষটি বসে আছেন তাঁর কাছেও বিচারের আলো পৌঁছে দেওয়া।” বিচারপতি হিসাবে ২০২৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অবধি মেয়াদ রয়েছে বিচারপতি শিবজ্ঞানমের।