— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রায় আট ঘণ্টা পর সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরিয়ে এলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সকাল ১১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছেছিলেন এই ‘এজেন্ট’। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বেরিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে কী জানিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
পার্থের এলাকা বেহালার বাসিন্দা সন্তু। তৃণমূলের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেহালাবাসী সন্তুর সঙ্গে হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী অয়ন শীল, এমনকি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-রও যোগাযোগ ছিল।
এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্তুর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। তবে এই প্রথম সিবিআই তলব করেছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার সন্তুকে জেরা করার ২৪ ঘণ্টা আগে সিবিআই অয়নকেও জেরা করতে চেয়ে আবেদন করেছিল আদালতে।
ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির কাছে সন্তুর কথা প্রথম বলেছিলেন হুগলির ব্যবসায়ী অয়নই। টেট দুর্নীতির পাশাপাশি পুরনিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ইডির দাবি, অয়ন এই সকল নিয়োগ পরীক্ষার কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে বেআইনি ভাবে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বদলেছিলেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন জেরায় জানিয়েছিলেন, তিনি সন্তুকে ২৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। আর তা দিয়েছিলেন কুন্তলের কথায়।
এই ২৬ কোটি টাকা অয়নের কাছ থেকে নিয়ে সন্তু নিজের কাছেই রেখেছিলেন, না কি পৌঁছে দিয়েছিলেন অন্যত্র? সেই সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। এর আগে সন্তুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তেমন কিছু না পাওয়া যায়নি। তার পর সাময়িক ভাবে থমকেছিল এই বিষয়ে তদন্ত। এ বার সেই সন্তুকেই আবার জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।