ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। —ফাইল চিত্র।
ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ দ্রুত করাতে রাজভবনকে চিঠি দিল পরিষদীয় দফতর। গত ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। তার পর প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে, কিন্তু নতুন বিধায়কের শপথগ্রহণ করানোর বিষয়ে কোনও উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি প্রশাসনের তরফে। কারণ, রাজ্যপালের অনুমতি। পরিষদীয় রীতিনীতি অনুযায়ী, নতুন কোনও বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে গেলে রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। তাই এ বার পরিষদীয় দফতরের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজভবন থেকে এখনও কোনও নির্দেশ পরিষদীয় দফতরে আসেনি বলেই সূত্রের খবর। তবে বিধানসভার সচিবালয়ের একাংশের মতে, চলতি সপ্তাহে পরিষদীয় দফতরে অনুমতি আসতে পারে রাজভবন থেকে। তার পরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন। যদিও ধূপগুড়ির নতুন বিধায়ককে কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন, তা নির্ভর করছে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের ওপর।
কারণ, পরিষদীয় নিয়মে কোনও বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতেই পারেন রাজ্যপাল স্বয়ং। এই ক্ষমতাবলকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর বিধানসভা এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ওই বছর ৩ অক্টোবর ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ের চার দিনের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। তবে রাজ্যপাল চাইলে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিতে পারেন স্পিকার কিংবা ডেপুটি স্পিকারকে। গত বছর এপ্রিল মাসে বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় জয় পেলে রাজ্যপাল ধনখড় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এ বার তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে রাজভবনের একটি সূত্র। শিক্ষা দফতর-সহ নানা বিষয় নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত হলেও স্পিকার বিমানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন রাজ্যপাল। তাই বিধানসভার সচিবালয়ের একাংশের মতে, ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্রর শপথগ্রহণের দায়িত্ব স্পিকারের ওপরেই ছেড়ে দেবেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস।
গত মার্চ মাসে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটের জয়ী বাইরন বিশ্বাসের শপথগ্রহণের ক্ষেত্রেও এমন বিলম্বের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে স্পিকার বিমান শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন বাইরনকে। যদিও সেই বাইরন এখন তৃণমূলে।