—প্রতীকী ছবি।
গ্রামীণ এলাকায় ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার মোকাবিলায় পঞ্চায়েত দফতরের তরফে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করা হয়েছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে পঞ্চায়েত এলাকায় মশাবাহিত রোগ নির্মূল করার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের উপর সরাসরি নজরদারি চালানো হবে। পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীরা যে সব জায়গায় গিয়ে সরেজমিনে সমীক্ষা চালিয়েছেন, সেখান থেকেই তাঁদের ওই অ্যাপে যাবতীয় তথ্য আপলোড করতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, মশাবাহিত রোগের মোকাবিলার জন্য কেন হঠাৎ অ্যাপ তৈরির প্রয়োজনীয়তা পড়ল? পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে কেবলমাত্র শহর-শহরতলি এবং পুরসভা এলাকাগুলিতেই ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বেশি মাত্রায় দেখা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরে লক্ষ করা গিয়েছে, পুরসভা এলাকাগুলি তো বটেই, পঞ্চায়েত এলাকাতেও থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ।
পুরসভা এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিলে তাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তাতে পুরসভাগুলি এই সব রোগের মোকাবিলা তথা ডেঙ্গি ও মশার লার্ভা ধ্বংস করার কাজেও সহায়তা পান ওই দফতর থেকে। কিন্তু, পঞ্চায়েত এলাকায় এই রোগের বাড়বাড়ন্ত হলে স্বাস্থ্য দফতরের মুখাপেক্ষী হতে হয়। তাই, মশাবাহিত রোগের মোকাবিলা করতে নতুন এই অ্যাপ চালু করে মশাবাহিত রোগ নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। এই অ্যাপ মারফত সমীক্ষা চালিয়ে গ্রামীণ এলাকায় ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করার কৌশল নিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।
পঞ্চায়েত দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গ্রামীণ এলাকায় কর্মীদের দিয়ে অ্যাপ মারফত আগাম সমীক্ষা চালিয়ে মশার বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ ধ্বংস করে দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। পরবর্তী সময়ে কোথাও যদি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয় কিংবা মশার লার্ভা বাড়তে থাকে, তা নজরে আসার অব্যবহিত পরেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। এই পদ্ধতিতে চললে গ্রামীণ এলাকায় মশাবাহিত রোগগুলির এ ভাবে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলেই মনে করছে পঞ্চায়েত দফতর। অন্য দিকে, ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার মোকাবিলা করতে আগামী ৮ অগস্ট কলকাতার ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের সব পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।