একডালিয়ার মণ্ডপের ভিতর পুলিশি প্রহরা। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চমীর সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল দেখেছিল শহর কলকাতা। বেলা যত বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিড়ের বহর। সন্ধ্যা নামতেই শহর দর্শনার্থীদের দখলে চলে যায়। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুজো একডালিয়া এভারগ্রিন। বালিগঞ্জ এলাকার এই পুজোটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সর্বদাই দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে একডালিয়ার সাবেকি প্রতিমা, বৃহৎ ঝাড়লণ্ঠন। এ বারেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় এমন পরিস্থিতি হয় যে, মণ্ডপের ভিড় সামাল দিতে কার্যত নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশাল পুলিশবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। পুলিশের দাবি, দর্শনার্থীরা মণ্ডপের সামনে গিয়ে ছবি তুলছেন। ফলে রাস্তায় ভিড় জমে যাচ্ছে। তাই পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে, মণ্ডপের ভিতরে এবং বাইরে ফোটো তোলা যাবে না। তবে পঞ্চমীর দিনই এই পরিস্থিতি হলে ষষ্ঠী থেকে নবমী কী পরিস্থিতি হতে পারে, তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ভিড় সামাল দিতে বিকল্প উপায়ের কথা ভাবছে পুলিশ।
সুব্রত মারা যাওয়ার পর এ বছর একডালিয়ার পুজো কার্যত অভিভাবকহীন। এই পুজোর উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে থিমের চাকচিক্যহীন এই পুজো দেখতে এত মানুষ ভিড় জমিয়েছেন, তাতে অভিভূত পুজো উদ্যোক্তারা। ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য তাঁরাও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন।