ছবি প্রতীকী
রাতভর অস্ত্রোপচার করে সফল ভাবে সম্পন্ন হল রাজ্য তথা পূর্ব ভারতের প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপন। মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের এই অস্ত্রোপচার হয়। একশো দিনের উপর একমো সাপোর্টে থাকা এক রোগীর দেহে সোমবার গভীর রাতে সফল ভাবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের চেয়ারম্যান অলোক রায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার শেষ করেন। আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মধ্যবয়সি ওই ফুসফুস গ্রহীতাকে।
সুরতের এক ব্যক্তির মরোণত্তর অঙ্গদানে নয়া জীবন পেলেন কলকাতার এক ব্যক্তি। সুরতের বছর ৫২-র ওই ব্যাক্তির `ব্রেনডেথ’ হওয়ার পর তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন দাতার পরিবার। তাঁর ফুসফুস পাওয়ার জন্য বিবেচিত হন কলকাতার হাসপাতালে জীবনমরণ লড়াই চালানো বছর ৪৬-এর এক ব্যক্তি।
কলকাতার ফুসফুস গ্রহীতা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনা নেগেটিভ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানান ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক। করোনার ফলেই তাঁর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ রকম ক্ষেত্রে ফুসফুস প্রতিস্থাপনই রোগীকে সুস্থ করে তোলার অন্যতম পন্থা বলে জানান চিকিৎসকরা। তাই মাস দুয়েক আগে ওই রোগীর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তার পর থেকে তাঁর জন্য প্রতিস্থাপনযোগ্য ফুসফুসের জন্য অপেক্ষা করা হয়। এই পুরো সময়টাই ওই ব্যক্তিকে একমো সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল বলে জানান এক চিকিৎসক।
অবশেষে সোমবার রাতে বিমানে করে সুরত থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় ফুসফুস। সেটি আনার জন্য সোমবার সকালে সুরত যান অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সঙ্গে যুক্ত কলকাতার চিকিৎসকের একটি দল। তাঁরা ফুসফুসটি নিয়ে আসেন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ন’ঘন্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। আপাতত গ্রহীতার শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। এ দিন শুধু রাজ্যের নয়, পূর্ব-ভারতের প্রথম সফল ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হল বলে জানান অলোক।