—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক দিকে চলছে শক্তির আরাধনা এবং আলোর উৎসব। আর অন্য দিকে রাজ্যের নানা জায়গা থেকে আসছে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহের অভিযোগ। লাগাতার সামনে আসতে থাকা এই সব অভিযোগকে কেন্দ্র করেই ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হল বিরোধীরা। শাসক পক্ষের অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘ঘৃণ্য মানসিকতা’র কারণে কেউ কেউ ‘দু-একটা ঘটনা’ ঘটালেই সেগুলিকে রাজনৈতিক লক্ষ্যে ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছে।
প্রাক্-দীপাবলি ও কালীপুজো, পরপর দু’দিনই একাধিক জেলা থেকে কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তার প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পালের দাবি, ‘‘এই সরকার যত দিন থাকবে, এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। দুষ্কৃতীরা মনে করছে, এই সরকার তাদের! পুলিশ যে ভাবে মামলা সাজাচ্ছে, তাতে আদালতে সহজেই অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচিয়ে নিচ্ছে। আর পুলিশের যিনি মন্ত্রী, তিনি অভিযুক্তদের কড়া বার্তা, পদক্ষেপ না-করে নির্যাতিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ফলে, এই রাজ্যে এ সব ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কোন রাজ্যে বসবাস করছি? পরপর কল্যাণী, বর্ধমান, আরামবাগ, কুলতলি হয়েই চলেছে! রাজ্যে রয়েছেন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অবাক হয়ে যাচ্ছি, সরকার কি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? দুর্বৃত্তেরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে! বাংলার মানুষ এটা মেনে নেবেন না।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘নারী নির্যাতনের ঘটনার কোনও বিরাম নেই। তৃণমূল কংগ্রেস স্লোগান দিয়েছিল, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। ভোট তারা পেয়েছে। কিন্তু বাংলা এখন তার মেয়েদের নিরাপত্তা চায়।’’
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেছেন, ‘‘কারও কারও ঘৃণ্য মানসিকতার কারণে দু-একটি এই রকম ঘটনা ঘটছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে এ সবের সঙ্গে সমাগ্রিক আইনশৃঙ্খলার কোনও সম্পর্ক নেই। কেউ কেউ রাজনৈতিক লক্ষ্যে এগুলি ব্যবহার করতে চাইছেন। সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’’