ফের চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর চড়াও প্রসূতির পরিজনেরা। প্রসূতির শ্বশুরের বিরুদ্ধে চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। অভিযোগ, হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় অজ্ঞান করার ইনজেকশন দিয়েও অস্ত্রোপচার করা যায়নি ওই মহিলার। এতেই খেপে ওঠেন রোগীর পরিজনেরা।
মহিলার পরিবার সূত্রে দাবি, অশোকনগর থানার দৌলতপুর এলাকার এক বাসিন্দা গর্ভবতী অবস্থায় চার দিন আগে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর অস্ত্রোপচারের দিন। সেই মতো অপারেশন থিয়েটারে আনা হয় প্রসূতিকে। কিন্তু অচেতন করার ইনজেকশন দেওয়ার পরই আচমকা হাসপাতালের বিদ্যুৎ চলে যায়। অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকায় অপারেশন থিয়েটার প্রায় দু’ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি বুঝে তাঁকে বারাসত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়। তাতে রেগে যান রোগীর পরিজনেরা। এর পরই চিকিৎসককে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে প্রসূতির শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে প্রসূতির শ্বশুরকে আটক করেছে তারা।
এ দিকে প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, ইনজেকশন দেওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ তাঁকে কোনও চিকিৎসা না দিয়ে ফেলে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে অন্যত্র রেফার করা হয়। পরিবারের দাবি, এই অবস্থায় প্রসূতিকে নিয়ে তাঁরা কী করবেন, কোথায় যাবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এক নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের লোকেরা চিকিৎসককে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়ার পর প্রসূতির শ্বশুর সুদীপ পালকে আটক করা হয়েছে। হাবড়া হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস দু’ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে বিদ্যুতের একটা সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছে। প্রসূতির পরিবার মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’