Defamation case against CM Mamata Banerjee

রাজ্যপাল আনন্দ বোসের মানহানির মামলা শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে নয়, যুক্ত হয়েছে আরও তিন নাম

বৃহস্পতিবারও এই মামলার শুনানি রয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ার এজলাসে। সূত্রের খবর, সেই শুনানিতে পরে নতুন করে যুক্ত হওয়া তিন জনের আইনজীবীও আদালতে হাজির থাকবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ২১:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) সিভি আনন্দ বোস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে মানহানির মামলা করেছেন, তার প্রথম শুনানি ছিল বুধবার। বৃহস্পতিবার আবার সেই শুনানির আগে বুধবার বিকেলে জানা গেল, রাজ্যপালের মামলা শুধু মমতার বিরুদ্ধে নয়। ওই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও তিন জনের নাম।

Advertisement

দুই হবু বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে রাজ্যপালের তরফে। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা উপনির্বাচনে দুই জয়ী প্রার্থী শপথগ্রহণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যা যা মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতেই তাঁদের যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু কুণাল কেন? রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদী বলেছেন, ‘‘সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল রাজ্যপাল সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছিলেন, তার জন্য তাঁকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘শুনেছি উনি মামলায় আমার নাম যুক্ত করেছেন। আইনত যা করার করব।’’

বুধবারের শুনানির পর বিচারপতি কৃষ্ণা রাও নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যপাল বোস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্য যে সব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলিকেও এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে উপস্থিত থাকবেন নতুন করে নাম যুক্ত হওয়া তিন জনের আইনজীবীও।

Advertisement

সায়ন্তিকা, রায়াতদের শপথ জট নিয়ে গত শুক্রবার কুণাল রাজ্যপালের উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছিলেন, ‘‘সোমবার বেলা ৩টের মধ্যে আমাদের বিধায়কেরা যদি শপথ না নিতে পারেন, তা হলে মঙ্গলবার থেকে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করবে দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলের অজানা ঘটনা।’’ কুণাল সে সব ঘটনা নিয়ে সে দিন বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে সেই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যপালের ‘যোগ’ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।যদিও সোমবার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর কুণাল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শপথ-জটিলতা কাটতে পারে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, শপথ নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা কাটাতে কুণালই রাজভবনের সঙ্গে সমন্বয় করছেন। তবে বুধবার পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকে।

রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এখনও আশাবাদী। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রত্যাশা করি, রাজ্যপাল দু-এক দিনের মধ্যেই শপথগ্রহণ ঘিরে জটিলতার সমাধান করবেন।’’

সম্প্রতি নবান্নের একটি সরকারি বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। রাজ্যের দুই হবু বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের যে টানাপড়েন চলছে, সে ব্যাপারে মমতা বলেছিলেন, ‘‘জেতার পরেও এক মাস ধরে আমার বিধায়কেরা বসে আছেন! রাজ্যপাল শপথ নিতে দিচ্ছেন না। মানুষ ওঁদের নির্বাচিত করেছে। ওঁর কী অধিকার তাঁদের শপথ নিতে না দেওয়ার? উনি হয় স্পিকারকে এই অধিকার (শপথগ্রহণ করানোর) দিন, নয়তো ডেপুটি স্পিকারকে দিন। আর তা না হলে নিজে বিধানসভায় যান। ওঁর রাজভবনে কেন সকলে যাবেন? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement