আহত ফালাকাটা কলেজের ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র।
প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেননি কলেজের ছাত্রী। আক্রোশে কলেজের বাইরে তাঁর গায়ে ব্লেড চালিয়ে হামলা করলেন তাঁরই সহপাঠী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায়। ঘটনার পর এলাকাবাসী অভিযুক্তকে ছাত্রকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাতেই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ছাত্রের নাম ফাজাদিন হোসেন। তাঁর বাড়ি কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙ্গা থানার অন্তর্গত বড় শোলমারিতে। তিনি গত কয়েক মাস ধরেই ফালাকাটা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না ওই ছাত্রী। সেই আক্রোশেই তাঁর উপর ফাজাদিন ব্লেড চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই ছাত্রীর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাকে অনেক দিন ধরেই উত্যক্ত করত ফাজাদিন। কলেজের বাইরে আমাকে ডেকে বলে, ‘কথা আছে’। কিন্তু আমি এড়িয়ে যায়। এর পরই আমার মুখ চেপে ধরে ব্লেড চালাতে থাকে। আমার এক বান্ধবী আটকে দেওয়ায় গলায় ব্লেড লাগা থেকে কোনও মতে বেঁচেছি।’’ আহত ছাত্রীর বাড়ি ফালাকাটাতেই।
এই ঘটনার পর অভিযুক্ত পালিয়ে যান এবং আহত ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বিকালে এই ঘটনা ঘটার পর সন্ধ্যাবেলায় অভিযুক্ত ছাত্রকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তার পর সেখানে তাঁকে গণধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে উত্তেজিত জনতার কবল থেকে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে অভিযুক্তের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের হাতে চোট লেগেছে।
ঘটনা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ফালাকাটায়। এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফালাকাটা কলেজের অধ্যক্ষ হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘কলেজে আসার সময় এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাব, যাতে কলেজের সময় এখানে পুলিশি টহলদারির ব্যবস্থা করা হয়।’’