Domestic Violence

Domestic violence: শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে মৃত্যু! তদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল অন্তঃসত্ত্বার মৃতদেহ

হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও কেন দেওয়া হল কবর, উঠছে প্রশ্ন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২১ ১৯:২৬
Share:

কবর খুঁড়ে বার করা হচ্ছে বধূর মৃতদেহ। নিজস্ব চিত্র

অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর এক বধূর দেহ কবর দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা ওই বধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় তদন্তের জন্য সৎকারের এক সপ্তাহ পরে কবর থেকে তোলা হল তাঁর দেহ। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে জেলাশাসকের নির্দেশে শনিবার বানারহাটের বিডিও-র উপস্থিতিতে পুলিশ ওই বধূর দেহ কবর থেকে তোলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি থানার প্রধানপাড়া লালুয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকার রঞ্জন রায়ের সঙ্গে ১০ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল বারোঘরিয়ার মমতা রায়ের (২২)। ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই বধূ সপ্তাহখানেক আগে মারা যান। তাঁর বাবা সুনীল রায়ের অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও মেয়ের উপর নিয়মিত নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আর সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে মমতার। হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও কেন কবর দেওয়া হল মমতাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই বধূর বাবা।

Advertisement

মেয়ের বাডি়র অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। সেই নির্দেশ মেনে শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ বানারহাট ব্লকের বিডিও প্রহ্লাদ বিশ্বাসের তার উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয় দেহ। দেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্য নুরজাহান বেগম বলেন,‘‘আমি শুনেছি গর্ভবতী অবস্থায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। তাই আজ দেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ।’’

Advertisement

বানারহাটের বিডিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement