আগে শিক্ষকের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় ডাকা হয় মহিলাকে। প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন। এই অভিযোগে ধূপগুড়ির শালবাড়ি হাই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক মহিলা বনকর্মী ।
ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা তথা শালবাড়ি হাই স্কুলের শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের সঙ্গে তাঁর পাশের গ্রামের যুবতী পেশায় বন দফতরের অস্থায়ী কর্মীর দীর্ঘ ছ’বছরের প্রেমের সম্পর্ক। সেই যুবতীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন ওই শিক্ষক। কিন্তু এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন। এর জন্য গত বৃহস্পতিবারই অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে ধর্নায় বসেন তিনি। অন্য দিকে, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকের পরিবারের তরফে থানায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে যুবতীকে থানায় নিয়ে যায় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। এর পর দুই পরিবারকেই থানায় ডাকা হয়। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটেনি। এর পর শুক্রবার সকালে পাল্টা ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই মহিলা বনকর্মী।
যুবতীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যখনই শুভঙ্করকে বিয়ের কথা বলা হত, তখনই নানান অছিলায় তিনি কথা ঘুরিয়ে দিতেন। শেষমেশ, বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেন মেয়েটি। তবে সেখান থেকেও কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকি, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই শিক্ষক গা ঢাকা দেন বলেও তরুণীর পরিবারের অভিযোগ। শুক্রবার সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারংবার সহবাস করেছেন তিনি। তার পর প্রতারণা করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগও আনা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।