সিসিটিভি ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত ছবি।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পঞ্চায়েত এলাকায় উপ-প্রধান ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের উপর হামলার অভিযোগ। এক দিকে গোপালপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত এর উপ-প্রধানের বাড়িতে ঢুকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অপর দিকে ওই একই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢাংডিংগুড়ি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণা সরকারের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সুব্রত চাকদারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বসার ঘরে প্রতিদিনের মতো বসেছিলেন। সেখানে তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলেন। হঠাৎ করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেই ঘরে ঢুকে পড়ে। তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। তাঁর সঙ্গে থাকা এক প্রতিবেশী বাধা দিতে গেলে বন্দুকের বাট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামের মানুষ ছুটে আসেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায়। সেই সময় গ্রামবাসীরা খোকন দাস নামে একজনকে ধরে ফেলেন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র।
ঘটনার পর পুণ্ডিবাড়ি থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে খোকন দাসকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সুব্রত বলেন, ‘‘শুধু আমার বাড়িতে নয়, এই দুষ্কৃতীরা গতকাল রাতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কল্পনা সরকারের বাড়ি লক্ষ্য করেও গুলি চালায়। সেই ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে।’’ তবে কী কারণে এই হামলা তিনি বুঝতে পারছেন না বলে তিনি জানান। ঢাংডিংগুড়ির পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণার স্বামী উজ্জ্বল সরকার বলেন, ‘‘গতকাল রাতে খাওয়া-দাওয়া করে যখন শুয়ে পড়েছিলাম সেই সময় হঠাৎ করে গুলির শব্দ পাই পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখি দু’জন দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে এসে বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
ডিএসপি হেডকোয়ার্টার অরিজিৎ পালচৌধুরী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে। বর্তমানে অভিযুক্তের চিকিৎসা চলছে। কারণ, গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ওই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে মারধর করে। সেই কারণে সে আহত হয়েছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।