Sister Nivedita University

লক্ষ্য স্বামীজির ভাবধারা তরুণদের মধ্যে পৌঁছনো, বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনাদর্শ আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক। দেশ গঠনের জন্য তরুণ সমাজের ভূমিকার কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর সেই ভাবধারা তরুণদের মধ্যে পৌঁছে দিতে প্রভাতফেরি সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৯
Share:

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাতফেরি। —নিজস্ব চিত্র।

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনাদর্শ দেশগঠন এবং তরুণ সমাজের বিকাশের জন্য আজও প্রাসঙ্গিক। তাঁর আদর্শকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ১২ জানুয়ারি স্বামীজির জন্মজয়ন্তীতে একটি প্রভাতফেরির আয়োজন করে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্যোক্তা ছিল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলিত সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি’। সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন। দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয় এই অনুষ্ঠানে। বিবেকানন্দের জীবনাদর্শের চারটি মূল বিষয়— ঐক্য, দয়া, সেবা এবং নিষ্ঠার উপর আলোকপাত করা হয় প্রভাতফেরিতে।

Advertisement

প্রভাতফেরিতে নজর কে়ড়েছে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং বিভাগের পড়ুয়াদের একটি উপস্থাপনা। বিবেকানন্দের দয়া এবং সেবার ভাবাদর্শকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি সুসজ্জিত ট্যাবলোয় স্বামীজির জীবনের বিভিন্ন টুকরো টুকরো মুহূর্ত এবং তাঁর বাণীকে তুলে ধরা হয়। প্রভাতফেরিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেছে সমাজ এবং আধ্যাত্মিকতায় বিবেকানন্দের অবদানের কথা।

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাতফেরি। —নিজস্ব চিত্র।

সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা যুব উৎসবের আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তগুপ্ত এই প্রভাতফেরির সাফল্যের জন্য সকলের প্রশংসা করেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের অনুষ্ঠান তরুণ সমাজের গতিশীলতা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মেলবন্ধনকে তুলে ধরে, যা ঐক্যবদ্ধ ভারতের ভাবনার একটি প্রতিফলন বলে মনে করছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও উপস্থিত ছিলেন ওই প্রভাতফেরিতে। বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষজনের উপস্থিতি এই প্রভাতফেরিকে আরও সফল করে তুলেছে বলে মনে করছেন আয়োজকেরা।

Advertisement

দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অংশগ্রহণে এই প্রভাতফেরি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতার একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন তাঁরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা এই প্রভাতফেরিতে অংশ নিয়ে স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও সংস্কৃতির ভাব বিনিময় করেন, যা এই প্রভাতফেরির অন্যতম সাফল্য বলে মনে করছেন আয়োজকেরা। স্বামীজির ১৬২ জন জন্মজয়ন্তীতে এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাঁর আদর্শের মূল ভাবনা এবং তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নের উপর জোর দিতে চেয়েছেন তাঁরা।

স্বামীজি বুঝিয়েছিলেন, দেশ গঠনের ক্ষেত্রে যুব সমাজের একটি বড় ভূমিকা থাকে। তিনি বলেছিলেন, “ওঠো, জাগো, এবং লক্ষ্যে পৌঁছনো পর্যন্ত থেমো না।” তাঁর সেই ভাবনা এবং জীবন দর্শনের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করাই ছিল এই প্রভাতফেরির অন্যতম লক্ষ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement