Dilip Ghosh

‘রাজ্যে শাসকদলের সাহায্যে রোহিঙ্গারা ঢুকছে’, মানিকচকে কড়া কথা দিলীপের

মানিকচকে মথুরাপুরের জনসভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল-সহ অন্য নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৪৩
Share:

মানিকচকের মথুরাপুরের জনসভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল-সহ অন্য নেতারা। নিজস্ব চিত্র

ফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মালদহের মানিকচকের সভা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে দিলীপ সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করলেন। বললেন, ‘‘রাজ্যে শাসকদলের সাহায্যে ঢুকছে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা। ভোটের জন্য বারুদের স্তূপ তৈরি করছে তৃণমূল।’’

Advertisement

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট করতে দেয়নি। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছে। লোকসভা ভোটে তার জবাব দিয়েছেন মানুষ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল। আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকায় স্বজনপোষণ হয়েছে।’’

মানিকচকের মথুরাপুরের জনসভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল-সহ অন্য নেতারা। তাঁদের উপস্থিতিতেই মঞ্চ থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিকে ঠাট্টা করতে ছাড়েননি তিনি। দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘দুয়ারে সরকার করে লাভ নেই, ওটা যমের দুয়ারে চলে গিয়েছে।’’

Advertisement

সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও একই রকম কড়া সুরে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা ও অনুপ্রবেশের পুরনো অভিযোগ আবারও করেন তিনি। তাঁর মতে, সারা দেশ জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়েছে। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার কড়াকড়ি করছে। কিন্তু বাংলা নিয়ে তাঁর মতামত অন্য। তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে আসছে। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই সারা ভারতবর্ষে যখন কট্টরপন্থী নেই, পশ্চিমবঙ্গের তখন কট্টরপন্থী, জঙ্গি ধরা পড়ছে। ’’

সভাস্থল থেকে মঙ্গলবার গরু পাচার প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গরু পাচার অনেক দিন ধরে একটা বড় সমস্যা ছিল। আর হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হত। তার মধ্যে মালদা একটা বড় করিডর। শেষ কয়েক মাস কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ব্যবস্থা নেওয়ায় গরু পাচার কমেছে এবং দোষীরা ধরা পড়ছে।’’

এ সবের মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বেড়েছে রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে। সেই নিয়ে অবশ্য দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট জবাব, ‘‘রান্নার গ্যাস, পেট্রল, ডিজেল এগুলির দাম আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সঙ্গে কমবেশি হয়। এখন বেড়েছে, পরে আবার কমবে।’’

আরও পড়ুন: করোনা টিকা দেওয়ার সরকারি অ্যাপ কাজ করবে কীভাবে, দেখুন বিস্তারিত

আরও পড়ুন: প্রণবের বই ঘিরে প্রকাশ্য টুইট-যুদ্ধে পুত্র অভিজিৎ ও কন্যা শর্মিষ্ঠা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement