শোক: মিলকি হাসপাতালে মফিজুদ্দিনের দেহ। নিজস্ব চিত্র
স্ত্রী’র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই এক যুবককে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রীর প্রেমিকও। মোট আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে ইংরেজবাজার থানার শোভানগর এলাকায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা রাতেই তাঁকে উদ্ধার করে মিলকি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রবিবার সকাল থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সেই গ্রামে। অভিযোগ, উত্তেজিত গ্রামবাসীদের একাংশ মৃতের স্ত্রীকে গণপ্রহার দিতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মিলকি ফাঁড়ির পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। কিন্তু অভিযোগ, বাসিন্দাদের একাংশই পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তাঁকে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়। দুপুরের দিকে মৃতের মা আট জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) বিপুল মজুমদার বলেন, ‘‘মৃত যুবকের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি সাত জনের খোঁজ চলছে। তারা পলাতক।’’ ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি মালদহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠান হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’’
স্থানীয় জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বিয়ে হয়েছিল বছর সাতেক আগে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ওই যুবক ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। তবে কয়েক মাস ধরে বাড়িতেই রয়েছেন। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে বচসা হত বলে অভিযোগ। ওই যুবকের মা বলেন, ‘‘শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বউমা চিৎকার করে। ঘুম ভেঙে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখি বউমার কোলে ছেলে নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে। আমি চিৎকার জুড়লে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ছেলেকে নিয়ে মিলকি হাসপাতালে যায়। কিন্তু চিকিৎসক ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করে।’’ তার অভিযোগ, ছেলে স্ত্রী-র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিল। তাই খুন করা হল।
যাঁর বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ সেই মহিলা অবশ্য খুনের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।