Panchayat Election

বাইরন-কাণ্ডের পরে পঞ্চায়েতের টিকিট নিয়ে সতর্ক কংগ্রেস

সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের মতো মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক, সাংসদ দলবদল করেছেন।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা, গৌর আচার্য 

মালদহ, উত্তর দিনাজপুর শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ০৭:২০
Share:

মালদহের নরহাট্টায় কংগ্রেসের যোগদান কর্মসূচিতে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

নদীর পারের মতো ‘ঘর’ ভেঙেছে কংগ্রেসেরও। বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা মতো, ঘর বাঁচাতে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছিল বাম, কংগ্রেস শিবিরে। তবুও মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসে ভাঙন ঠেকানো যায়নি। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের দলবদলের পরে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের টিকিট বিলি নিয়ে তাই ‘সতর্ক’ দুই জেলার কংগ্রেস নেতৃত্ব। উত্তর দিনাজপুরের কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরোনো এবং দলের প্রতি অনুগত কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”

Advertisement

পঞ্চায়েত টিকিট বিলিতে ‘অনুগত সৈনিকদের’ গুরুত্ব দিচ্ছে মালদহের কংগ্রেসও। কংগ্রেস নেতা ইশা খান চৌধুরী বলেন, “মালদহে কংগ্রেস ছেড়ে অনেকে চলে গিয়েছেন। আবার অনেকে ফিরেও আসছেন। তবে খুব খারাপ সময়েও বহু কর্মী, নেতা দলের পাশে ছিলেন। পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে, দল এ বার তাঁদের পাশে থাকবে।” কংগ্রেসের আর এক নেতা প্রাক্তন বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, ‘‘তৃণমূল, বিজেপির প্রলোভনের পরেও দলে অনেক নেতা আছেন, যাঁরা আজও দলবদল করেননি। আবার বাইরন বিশ্বাসের মতো অনেকে আছেন, যাঁরা ভোটে জিততে না জিততেই দলবদল করেন। এ বার এমন বাইরনদের চিহ্নিত করে, পঞ্চায়েতে সব দিক বিবেচনা করে টিকিট দেওয়া হবে।”

সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের মতো মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক, সাংসদ দলবদল করেছেন। কংগ্রেসের দাবি, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে মালদহের ১২টি আসনের মধ্যে বাম-কংগ্রেস জোট ১১টি আসন পেয়েছিল। দলের কর্মীদের নিয়ে সে সময় ১১ জন বিধায়ককে দিয়ে দলবদল না করার শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছিল। তবে, সে শপথ বাক্য পাঠের মাস খানেকের মধ্যেই এক বিধায়ক দলবদল করেন। এর পরে আরও একাধিক বিধায়ক দল ছাড়েন। কংগ্রেস সাংসদ থাকাকালীন গত লোকসভা ভোটের আগে দল ছাড়েন কোতোয়ালির গনি খান চৌধুরীর পরিবারের সদস্য মৌসম নুরও। এ ছাড়া, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কংগ্রেসে ছেড়ে তৃণমূল, বিজেপিতে যোগদানের একাধিক নজির রয়েছে দুই জেলায় রয়েছে। ইশা খান বলেন, “জনপ্রতিনিধিদের দলবদলে ভোটারদের মন খারাপ হয়। সে মন খারাপের জবাব ভোটারেরা পরের ভোটে দলবদলুদের দিয়ে দেন। নিচুতলার কর্মীরা আরও জোটবদ্ধ হয়ে যান। জেলার পঞ্চায়েত ভোটে এ বারে তাই নিচুতলার কর্মীদের জবাব দেওয়ার পালা।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement