প্রতীকী ছবি।
লকডাউনে কর্মহীন গরিব মানুষের জন্য কেন্দ্র সরকার থেকে বরাদ্দ অতিরিক্ত চাল এফসিআইয়ের গুদামে এসে পড়ে রইলেও তা জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতর থেকে তোলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের অন্য জেলার সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের জন্যও অতিরিক্ত প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে। রাজ্য সরকার ওই চাল এফসিআই থেকে তুলছে না। রেশন দোকান থেকে উপভোক্তাদের ওই চাল মাথাপিছু ৫ কেজি করে অতিরিক্ত বিলিবণ্টনেরও ব্যবস্থা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
শুক্রবার জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের একাধিক রেশন দোকান পরিদর্শন করে খাদ্যসামগ্রী বণ্টনের পরিমাণ খতিয়ে দেখে সাংসদ ওই অভিযোগ তোলেন। এফসিআইয়ের গুদামে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ওই চাল মজুত রয়েছে বলে দাবি করে অবিলম্বে অতিরিক্ত ৫ কেজি করে চাল বিলির দাবি তোলেন সুকান্ত। জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় জানান, এ বিষয়ে কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি। এলে পদক্ষেপ করা হবে।
খাদ্য ও সরবরাহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্র ওই প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন চাল অন্ত্যোদয় অন্নপূর্ণা যোজনা এবং পিএইচএইচ-ভুক্ত রেশনকার্ড উপভোক্তাদের জন্য বরাদ্দ করে পাঠিয়েছে।
কিন্তু ওই দুই শ্রেণির বাইরে ব্যাপক সংখ্যক আরকেএসওয়াই(রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা) -১ শ্রেণিভুক্ত উপভোক্তা রয়েছেন। তাঁদের জন্য কোনও বরাদ্দ না আসায় জটিলতা দেখা দিয়েছে।
বালুরঘাটের জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “এ জেলায় আরকেএসওয়াই-১ শ্রেণিভুক্ত রেশনকার্ড হোল্ডারের সংখ্যা ৪ লক্ষের বেশি। এই ব্যাপক অংশের মানুষকে বাদ দিয়ে শুধু এএওয়াই এবং পিএইচএইচ-ভুক্ত রেশন গ্রাহকদের ওই চাল দিতে গেলে বিভ্রান্তি ও গন্ডগোলের আশঙ্কা দেখা দেবে।’’ ফলে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই ওই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই আধিকারিক জানান, নবান্ন থেকে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রককে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। সাংসদ সবটা না জেনে অভিযোগ করছেন বলে তিনি দাবি করেন।