সকাল থেকে অপেক্ষাই সার
West Bengal Lockdown

রোদে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও কাজের কাজ হল না, প্রাপ্তি ভোগান্তি

লকডাউনের জেরে টানা প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে রোজগার বন্ধ বহু মানুষের। অসংগঠিত ক্ষেত্রে সেই শ্রমিকদের জন্যই প্রচেষ্টা প্রকল্পটি চালু করেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১০
Share:

পাতা-মাথায়: ময়নাগুড়িতে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

লকডাউনের জেরে রাস্তায় কোনও গাড়ি নেই। ফলে প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম জমা দিতে সকাল হতেই পায়ে হেঁটে অনেকে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিডিও অফিসে। চড়া রোদে অনেকক্ষণ ধরে লাইনেও দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বেলার দিকে প্রশাসনের তরফে এ দিনের মতো আর ফর্ম জমা না নেওয়ার কথা জানাতেই ক্ষোভ ছড়াল তাঁদের মধ্যে। প্রশাসনের কর্তাদের অবশ্য সাফাই, উপর থেকে যেমন নির্দেশ এসেছে, তেমনই বলা হয়েছে।

Advertisement

লকডাউনের জেরে টানা প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে রোজগার বন্ধ বহু মানুষের। অসংগঠিত ক্ষেত্রে সেই শ্রমিকদের জন্যই প্রচেষ্টা প্রকল্পটি চালু করেছে রাজ্য সরকার। যে প্রকল্পের মধ্যে এক হাজার টাকা পাওয়ার কথা আবেদনকারীদের। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরসভার ক্ষেত্রে মহকুমা শাসকের দফতর ও গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে বিডিও অফিসে সোমবার থেকে এই প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন বিডিও অফিসে ভিড় জমাতে শুরু করেন আবেদনকারীরা। বেলা ১০টায় দফতর খোলার সময় হলেও তার অনেক আগে থেকেই জেলার কোনও কোনও বিডিও অফিসে আবেদনপত্র জমা দিতে মানুষের ভিড় জমে যায়।

আলিপুরদুয়ার-১ বিডিও অফিসের এক কর্মীর কথায়, “বেলা সওয়া ১০টা নাগাদ এ দিন অফিসে পৌঁছই। কিন্তু প্রচেষ্টা প্রকল্পের আবেদন জমা করতে এত ভিড় ছিল যে, অফিসে ঢুকতেই সমস্যা হচ্ছিল। অফিস খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই এ দিন প্রকল্পের ফর্ম জমা নেওয়া হবে না বলে প্রশাসনের কর্তারা ঘোষণা করেন।” পরক্ষণেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement