elephant attack

হাতি রুখতে কী করবেন ‘নিধিরামেরা’!

এ দিকে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না হওয়া, পরিকাঠামোর অভাব, জ্বালানির টাকা বকেয়া। সব মিলিয়ে দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন বনাঞ্চল সংরক্ষণ।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:৪৮
Share:

হাতি আতঙ্কে উত্তরবঙ্গ। — ফাইল চিত্র।

নজরদারি বাড়িয়েই বন্যপ্রাণী-মানুষ সংঘাত কমাতে বন আধিকারিকদের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতির হামলায় বনপথে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাগডোগরা থেকে কলকাতা ফেরার পথে এই পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের একাধিক বনাঞ্চলে কী ভাবে তা কার্যকর করা হবে তার কোনও দিশা পাচ্ছেন না বনের নিচুতলার আধিকারিকেরা। তবে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই রাজ্যের বনাঞ্চল এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।

Advertisement

এ দিকে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না হওয়া, পরিকাঠামোর অভাব, জ্বালানির টাকা বকেয়া। সব মিলিয়ে দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন বনাঞ্চল সংরক্ষণ। তাই দলছুট হাতির উপর নজরদারি করা তো দূরের কথা, হাতির পাল কোথাও হাজির হলেও তার মোকাবিলা করাও কঠিন হয়ে পড়ছে বন আধিকারিকদের কাছে। বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির সংখ্যা উত্তরবঙ্গে বেড়েছে যেমন, তেমনি অসম থেকে আসা হাতির অনেকগুলি দলছুট হয়ে সারা বছর এলাকায় রয়ে যাচ্ছে। তাণ্ডব চালাচ্ছে। গত বছর অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত কার্শিয়াং এবং বৈকন্ঠপুর মিলিয়ে হাতির আক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চার জন। এদের মধ্যে তিন জনের জঙ্গলে ঢুকে পড়ার জেরে দুর্ঘটনা ঘটলেও, বিভিন্ন এলাকায় চলতি বছর গ্রামে ঢুকে হাতির আক্রমণও কিছু কম হয়নি। বেশ কয়েকটি জায়গায় সময়ে বন দফতরের গাড়ি পৌঁছচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। উত্তরবঙ্গে এক একটি বন বিটে শূন্যপদের সংখ্যা অনেক। তাই হাতি তাড়ানো, চিতাবাঘ ধরার মতো কাজেও বন বস্তির দিনমজুরদের কোনরকমে প্রশিক্ষণ দিয়ে খাকি পোশাকে স্কোয়াডে শামিল করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন স্কোয়াডে চলছে ভাড়ার গাড়ি। ভাড়ার টাকা, জ্বালানির টাকা বকেয়া দীর্ঘদিনের। এই অভিযোগ উত্তরবঙ্গের একাধিক বিট অফিসার, রেঞ্জারদেরও।

সপ্তাহ দুয়েক হল বন বিভাগে কিছু মোটরবাইক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলি দিয়ে কী ভাবে বন্যপ্রাণীর মোকাবিলায কাজে লাগানো যাবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। যদিও রাজ্যের হেড অফ ফরেস্ট ফোর্স (হফ) সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘এ বছর হাতি প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়েছে। উত্তরবঙ্গে বাইক দেওয়া হয়েছে। গাড়িও যাবে। এ গুলি দিয়ে নজরদারির কাজ বাড়ানো হবে। আশা করছি, নিয়োগের সমস্যাও মেটানো যাবে।’’

Advertisement

বিটগুলিতে কর্মী কম। কে চালাবে বাইক? তেলের বরাদ্দ কোথা থেকে আসবে, সে সব নিয়ে অবশ্য এখনও ধোঁয়াশা আছে। যদিও বনকর্তারা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে যে লোকবল, আছে তা দিয়েই অন্তত বন্যপ্রাণী-মানুষ সংঘাত কমানোর দিকে নজরদারি বাড়াতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement